ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় প্লাবন পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি। তবে, এখনও চট্টগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজারের।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের সাথে আঞ্চলিক যোগাযোগ বন্ধ। পানিতে ডুবে আছে শহরের মূল সড়ক ও আশপাশের এলাকা। জলমগ্ন হাজারও মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। দুর্গত এলাকায় সকাল থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সদর, থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি থেকে পানি নামছে ধীরে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি পানিবন্দিরা। পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
গতকাল (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় কমতে শুরু করেছে মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি। চকরিয়া, পেকুয়াসহ ৯টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৬০টি ইউনিয়নের অন্তত সাড়ে ৪ লাখ পানিবন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। পানি নামায় স্পষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাটের ভাঙন।
এদিকে, একই অবস্থা খাগড়াছড়ির দীঘিনালারও। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। তবে, সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি-সাজেক রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাজেকে আটকে পড়েছে প্রায় ৩শ’র মতো পর্যটক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বিপর্যয়ের মধ্যে হেলিকপ্টার যোগে বান্দরবানে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
/এম ই
Leave a reply