দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক নারী ঘোড়সওয়ার। রক্ষণশীল সমাজে ঘোড়া চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ২০ বছর বয়সী মায়ার আয়াদেহ। নারী হিসেবে নয়, বরং দক্ষতা ও কৌশলের কারণে প্রশিক্ষক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। খবর মিডল ই্স্ট আই এর।
রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও ঘোড় সওয়ারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মায়ার আয়াদেহ। খুব ছোটবেলাতেই ঘোড়ার সাথে সখ্যতা হয় তার। ভাইয়ের কাছে ঘোড়া চালনার হাতেখড়ি হয় তার। খুব দ্রুতই তিনি শিখে ফেলেন কৌশলগুলো। এক সময় পেশা হিসেবেই বেছে নেন এই ঘোড়া চালনার প্রশিক্ষণকে।
মায়ার বলেন, খুব ছোটবেলায় হর্স রাইডার হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমাদের পরিবারের ঘোড়া ছিল। বিশেষ করে ভাইকে দেখতাম, কীভাবে ঘোড়া লালনপালন করে। আগে অনেক বাবা মা মেয়েদের ফ্রি ট্রেইলে পাঠাতে দ্বিধায় ভুগতো। তবে আমিতো অন্যায় বা লজ্জার কিছু করছি না। এখন অনেকে পরিবার নিয়েও আসে।
বড় ভাই মুনতাসির আয়াদেহর একটি হর্স রাইডিং ক্লাবের মালিক। সেখানেই প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে মায়ার। মুনতাসির বলেন, নবী (স.) বলেছেন, সন্তানদের সাঁতার, শ্যুটিং, ঘোড়া চালনা শেখাতে। ছেলে নাকি মেয়েদের সেটা কিন্তু আলাদা করে উল্লেখ করেননি। বোনের আগ্রহ দেখে বুঝে গিয়েছিলাম, ও ভালো কিছু করবে। তখনই ওকে শেখানোর তাগিদ অনুভব করলাম।
ট্রেইনিং রিংয়ে মায়ারের দক্ষতা মুগ্ধ করে সবাইকে। তাকে দেখে ঘোড়া চালনায় উৎসাহিত হচ্ছে বহু মেয়েরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার প্রশিক্ষককে দেখেই ঘোড়া চালনায় আগ্রহ জন্মায়। তিনি খুব ভালোভাবে খুঁটিনাটি সবকিছু বুঝিয়ে দেন। লালনপালনের বিষয়গুলোও শিখিয়ে দেন।
দিন দিনই বাড়ছে মায়ারের ঘোড় সওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা। তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন অনেকে।
এসজেড/
Leave a reply