পাকিস্তানে গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার শতাধিক

|

সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর। ছবি: এপি

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিভাগ সিটিডির হেফাজতে নেয়া হয়েছে কোরআন অবমাননাকারী ২ অভিযুক্তকে। কোরআন অবমাননার জেরে গির্জা ও খ্রিস্টানদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি। খবর রয়টার্সের।

তার অভিযোগ, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পূর্ব-পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র এটি। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শতাধিক মানুষ গ্রেফতার। শুধু তাই নয়, দুটি পৃথক মামলায় ৬০০ মানুষকে করা হয়েছে অভিযুক্ত।

সোমবার (১৪ আগস্ট) কোরআনের পাতা ছিঁড়ে লাল কালিতে অসম্মানজনক লেখার অভিযোগ ওঠে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। সেদিন ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এরপরই পাঞ্জাবজুড়ে ছড়ায় সহিংসতা। ২০টি গির্জা, খ্রিস্টানদের ৩০-৪০টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে ক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। রাস্তায় নামে পুলিশের সাড়ে তিন হাজার অতিরিক্ত সদস্য।

করাচি ও বালুচিস্তানের বিশপ রেভারেন্ড ফ্রেডেরিক জন বলেন, পাকিস্তান সরকার, প্রেসিডেন্ট, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান এবং প্রধান বিচারপতির কাছে করজোড়ে আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্মের অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করুন। তাতে প্রশাসনের প্রতি সংখ্যালঘুদের আস্থা ফিরবে।

অল পাকিস্তান উলেমা কাউন্সিলের সভাপতি তাহির মেহমুদ আশরাফি বলেন, প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ, গির্জার পাশেই অস্থায়ী আদালত স্থাপন করুন। যারাই ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের আনুন কাঠগড়ায়। পাকিস্তানিরা একমাসের মধ্যে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেখতে চায় বলে তিনি জানিয়েছেন।

দুই বছর আগে ব্লাসফেমির অভিযোগে অভিযুক্ত এক শ্রীলঙ্কান ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ২০০৯ সালে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাঞ্জাবের গোর্জা জেলায় প্রায় ৬০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং ছয়জনকে হত্যা করা হয়।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply