কখনই পিএসজিতে যোগ দিতে চাননি মেসি

|

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির কল্যাণে প্রথমবারের মতো লিগস কাপের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। রোববার (২০ আগস্ট) সকালের সেই ফাইনালের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন এলএমটেন। সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা জানান, ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাকে প্যারিসে পাড়ি জমাতে হয়েছিল।

চোখের জলে ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন মেসি। আর্থিক দুরবস্থার কারণে সেই সময় নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যেতে পারেনি কালাতান দলটি। বাধ্য হয়ে মেসিকে খুঁজে নিতে হয়েছিল নতুন ঠিকানা। আর্জেন্টাইন তারকা তখন পাড়ি জমিয়েছিলেন পিএসজিতে। কিন্তু সেখানে দুই বছরের অধ্যায়টা মোটেও সুখকর ছিল এলএমটেনের জন্য।

পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেসি। ফোর্ট লডারডেলে সংবাদ সম্মেলনে অনেকের অনেক কৌতূহল মেটান তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনে পিএসজিতে কাটানো কঠিন সময়গুলোর কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

লিওনেল মেসি বলেন, আমার পিএসজিতে যাওয়া কোনো পূর্ব পরিকল্পনা থেকে ছিল না, কাঙ্ক্ষিতও ছিল না। আমি কখনোই বার্সেলোনা ছাড়তে চাইনি। বাধ্য হয়ে মাত্র একদিনেই সিদ্ধান্ত নিতে আমাকে প্যারিসের ক্লাবটিতে যেতে হয়েছিল। আমার জন্য ওই পরিবেশে মানিয়ে নেয়াটা বেশ কঠিন ছিল।

শুধু মাঠের বাইরে নয়, পিএসজিতে মাঠের সময়টাও খুব একটা ভালো কাটেনি মেসির। নিয়মিতই পিএসজি সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে। বিশেষ করে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর তো সেটা বেড়ে গিয়েছিল অনেক। বিদায়ী ম্যাচেও তাকে দুয়ো দিয়েছে প্যারিসের সমর্থকেরা। ক্লাবের সঙ্গে মেসির সম্পর্কও ভালো যাচ্ছিল না। গত মৌসুমের শেষ দিকে তো মেসিকে বহিষ্কারও করেছিল ক্লাবটি।

ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণও খোলাসা করেন এলএমটেন। তিনি বলেন, আমার সিদ্ধান্তটা অনেক কিছুর ওপর ভিত্তি করে নেয়া ছিল। এ ব্যাপারে অনেক চিন্তা করেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখানে এসেছি, যাতে ফুটবল উপভোগ করতে পারি। এটাই আমি আমার সারা জীবন উপভোগ করেছি এবং আমি তা যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি পছন্দ করেছি। বলা যেতে পারে আমি বেশ সুখী। শুধু মাঠের ফলাফলের কারণে নয়, আমার পরিবারের কারণেও।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply