বেঁচে থাকার খবর নিজেই জানালেন হিথ স্ট্রিক

|

হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে রেমন্ড প্রাইস। ছবি: ফেসবুক

জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে তারই সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গার একটি টুইটকে কেন্দ্র ধরে। তার মৃত্যুর খবর শুনে থমকে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর ওলোঙ্গা পূর্বের টুইট মুছে দিয়ে নতুন টুইটে জানান, মৃত্যুসংবাদটি গুজব ছিল। পরে হিথ স্ট্রিক নিজেই জানালেন, তিনি বেঁচে আছেন!

‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’– উক্তিটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ গল্পে। বুধবার (২৩ আগস্ট) হিথের মৃত্যু নিয়ে যেসব কাণ্ডকীর্তি ঘটলো, তাতে বলা যায়– হিথ স্ট্রিক অডিওবার্তা দিয়া প্রমাণ করলেন, তিনি বেঁচে আছেন। বিদ্যুতের মতো নিজের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে দেখে অবশেষে তাকে দিতে হলো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। নিজেকেই জানাতে হলো যে, বেঁচে রয়েছেন তিনি। এক ভয়েস মেসেজে এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার বলেন, তার মৃত্যুর খবর গুজব ছিল। তিনি জীবিত আছেন। ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলেও এখন বেশ সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের দলের সাবেক পেস বোলিং কোচ।

মৃত্যুর গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় পত্রিকা মিড ডে স্ট্রিককে উদ্ধৃত করে জানায়, বেঁচে আছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় স্ট্রিক ওই পত্রিকাকে বলেন, এটা গুজব। আমি জীবিত আছি, ভালোই আছি। এটা খুব দুঃখজনক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এত বড় একটা খবর কারও কাছ থেকে নিশ্চিত না হয়েই কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যে সূত্র এই খবর ছড়িয়েছে, তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

হিথের বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্ট্রিকের আরেক সাবেক সতীর্থ রেমন্ড প্রাইস বুধবার সকালে স্ট্রিকের বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। সাবেক এই অলরাউন্ডার যে ভালো নেই, ছবিতে সেটি প্রতীয়মান।

https://twitter.com/henryolonga/status/1694212344732357101?s=20

এর আগে, দুজনের হোয়াটসঅ্যাপ আলাপনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে হেনরি ওলোঙ্গা ‘জীবিত’ হিথ স্ট্রিকের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর বিশ্বের বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো স্ট্রিকের মৃত্যু সংবাদ সরিয়ে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুর দিকে হিথ স্ট্রিকের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। লিভার ও কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে শেষ স্টেজে। তখনই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হিথ স্ট্রিকের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেই শঙ্কাটাই মৃত্যুর গুজবে পরিণত হওয়ার বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন নীতি ভঙ্গ করায় ২০২১ সালে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply