ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি মহাসাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত, প্রতিবাদ চীন-জাপানে

|

তেজস্ক্রিয় পানি মহাসাগরে ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে উত্তাল চীন-জাপান

জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে সাগরে পানি ফেলাকে ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে প্রতিবেশি দেশগুলোয়। টোকিওর পদক্ষেপকে স্বার্থপর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে আখ্যা দিয়েছে চীন। প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে জাপানেও। খবর রয়টার্সের।

সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, এমন অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবেশী দেশগুলোর চরম আপত্তি সত্ত্বেও বিষাক্ত পানি সাগরে ছাড়ছে টোকিও। এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে খোদ জাপানেই চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। আদালতে পিটিশনের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর। জাপানের এক নাগরিক বলেন, সরকার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। ফুকুশিমার কৃষির অবস্থা এমনিতেই ভালো না। মৎস্য শিল্পের অবস্থা আরও খারাপ। দূষিত পানির কারণে এই দুই খাতে বিপর্যয় নামবে।

জাপানকে চাপ প্রয়োগে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ইয়ুন সুক ক্ষোভ জানিয়েছেন, সরকার জনগণকে মিথ্যে বলেছে। দূষিত পানি সাগরে পড়লেও নাকি ক্ষতি হবে না। এমন পদক্ষেপে চরম ক্ষুব্ধ আমরা। আরেক নাগরিক জানান, এটা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। জাপানকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করা উচিত।

জাপানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপে ক্ষয়ক্ষতির দায় নিতে রাজি নয় উপকূলীয় দেশগুলো, চীনের এক বিবৃতিতে বলা হয় একথা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর ফোরামের এক বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন চীনের প্রতিনিধি। জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের বিষয়টি উপেক্ষা করছে জাপান। চীনসহ অন্যরা বারবারই বলছে, যদি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি নিরাপদ হয়, এটা সাগরে ফেলার প্রয়োজন নেই। আর যদি নিরাপদ না হয়, এভাবে সাগরে ফেলা কখনও উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামিতে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমার বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্লাবিত হয়ে চারটি পারমাণবিক চুল্লির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লি থেকে নিঃসরিত পানি এক যুগের বেশি সময় জমা রেখেছে জাপান। সম্প্রতি, ওই পানি সাগরে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে শুরু হয় প্রতিবাদ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply