চন্দ্রযানের সফলতার কৃতিত্ব নিয়ে বিতর্ক

|

চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে নিজেদের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণ করেছে ভারত।

চন্দ্রযানের সফলতার কৃতিত্ব নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে। এই সাফল্যকে নরেন্দ্র মোদির অর্জন হিসেবে প্রচার করছে বিজেপি। খবর রয়টার্সের।

কিন্তু বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, চন্দ্রযানের সফলতার একমাত্র দাবিদার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরু। দীর্ঘদিনের গবেষণার সূত্র ধরেই এ সাফল্য। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিষয়টির রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরোর পেছনে অন্যান্য সরকারের অবদানও খাটো করার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা সুনিল সিং বলেন, এই সাফল্য আমাদের জন্য খুবই গর্বের। এই সফলতার দাবিবার সবাই। যেহেতু ইসরো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেহেরু, তাই এই সফলতার দাবিদার তিনিও।

এমনকি, চন্দ্রাভিযানের সাথে হিন্দু ধর্মকে জড়ানোর অভিযোগও উঠেছে কিছু কট্টরপন্থি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সরকারের তরফ থেকেও চন্দ্রযানের অবতরণ স্থলের নাম দেয়া হয়েছে শিবশক্তি। এসব নিয়েও চটেছে বিরোধী শিবির। অভিযোগ, ভোটে টানতেই চন্দ্রযান ইস্যুতে ধর্ম জড়ানো হচ্ছে।

কংগ্রেস নেতা রাশিদ আলভি বলেন, বিজেপি এবং এর নেতাদের অভ্যাস হয়ে গেছে সবকিছুর নামকরণ করা। কখনো তারা সড়কের নাম পাল্টে দেন, কখনো শহরের নাম পাল্টে দেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ইসরো প্রধানমন্ত্রী পরিচালনা করেন, চন্দ্রযানটা উনিই চালিয়ে নিয়ে গেছেন।

তবে বিরোধী শিবিরের এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নামকরণের ধারা শুরু করেছে কংগ্রেসই।

দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, বিজেপির কাছে সবার আগে দেশ। সবকিছুতে পরিবারের নামকরণ তো কংগ্রেসই করেছে। কোথাও নেহেরুর নাম, কোথাও ইন্দিরা গান্ধির নাম তো কোথাও রাজীব গান্ধির নাম। সামনে আর কার কার নাম তারা রাখবে, সেটা তারাই জানে।

এদিকে, আলোচিত গোষ্ঠী সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার প্রধান চক্রপানি মহারাজ জানিয়েছেন, চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply