ইইউভুক্ত দেশে ৬ মাসে ২১ হাজার বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন

|

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশে প্রতিদিন গড়ে ১১৬ বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়েছেন। যা গত বছরের চেয়ে দেড়গুণেরও বেশি। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আশ্রয়প্রার্থীদের প্রথম ছয়মাসের তথ্য প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম।

নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে সংঘাত কবলিতদের মানবিক কারণে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অ্যাসাইলাম দিয়ে থাকে বিভিন্ন দেশ। অনেক বাংলাদেশিই এই সুযোগ নেন। তবে দৃশ্যমান কোনো যুদ্ধ-সংঘাত না থাকলেও বছর বছর বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে ইইউ এর ২৭ দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৪১৪ জন। যা এ যাবতকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের বছরের তুলনায় আবেদনের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ।

আবেদনকারীদের প্রথম পছন্দ ছিল জার্মানি। ৩০ শতাংশই দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ১৭ শতাংশের পছন্দ স্পেন আর ১৬ শতাংশের ফ্রান্স। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক দুর্দশায় বিপর্যস্ত সিরিয়া-আফগানিস্তান থেকে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে। তালিকায় ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া ও তুরস্কের পর ছয় নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান। আর বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান।

এদিকে, জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছে ২০ হাজার ৯২৬ জন বাংলাদেশি। নিজ দেশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১১৬ জনেরও বেশি বাংলাদেশি অ্যাসাইলামের আবেদন করছেন। গেলো বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১২ হাজারের কিছু বেশি। ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।

যদিও বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ আবেদনই বাতিল হয়েছে। মোট আবেদনের ৪১ ভাগ গৃহিত হলেও বাংলাদেশিদের মাত্র ৪ শতাংশ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ৩ শতাংশ বাংলাদেশি আবেদনকারীকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আর ১ শতাংশ পেয়েছেন সুরক্ষা সুবিধা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply