১০ দশ টাকার চাল কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

|

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানাা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে ১৭ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে এঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাঈন উদ্দিন এবং অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে পরদিন মঙ্গলবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, জয়নাল আবেদিন (২০), নজরুল ইসলাম (২১), আনোয়ার হোসেন (২২) ও অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন (২৩)।

কিশোরী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ওই কিশোরী ১০ টাকা দরে চাল কেনার জন্য কাজীরহাট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বগাদানা ইউপি কার্যালয়ে যায়। চাল নিয়ে ফেরার পথে কাজীরহাট সড়কের আলমপুর এলাকায় পৌঁছলে চালক হঠাৎ অটোরিকশাটি থামান। সেখানে আগ থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা তিন যুবক এগিয়ে এসে চালকের সহায়তায় কিশোরীকে জোর করে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। তিন যুবকের গণধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আরো দুই যুবক একত্রিত হয়ে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে কিশোরী কৌশলে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিনকে ঘটনাটি জানালে মাঈন উদ্দিন নিজে সমাধান করবেন বলে থানায় যেতে নিষেধ করেন।

কিশোরীর বাবা জানান, বিচারের দাবিতে তাঁরা থানায় যেতে চাইলে মাঈন উদ্দিন বাধা দেন। মামলা করলে আরও বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দিয়ে তাঁদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন ওই যুবকদের তাঁদের বাড়িতে ডেকে এনে সালিসে বসেন। কারও কোনো কথা না শুনে মাঈন উদ্দিন ধর্ষকদের নাকে খত ও চড়-থাপ্পড় দিয়ে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করার কথা বলে সালিসি বৈঠক শেষ করেন। ইউপি সদস্যের এমন বিচার না মেনে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি তদন্ত সুজন হালদার জানান, এই ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেনী সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। নির্যাতিতা কিশোরী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply