বিড়াল নয়, খাসির মাংসই ছিল সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে, লায়লা-হাকিমের অপরাধ পেয়েছে পিবিআই

|

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত মাংস নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসই ছিল। কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না। মাংস নিয়ে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে উল্টো অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পিবিআই’র উপপরিদর্শক মো. নাজিম উদ্দিন এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের তৎকালীন খণ্ডকালীন কর্মকর্তা ও সুলতান ডাইনস’র কাচ্চি খরিদ করা কনক লায়লা ও আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাদীর প্রতিষ্ঠান হতে ৭ প্যাকেট কাচ্চির অর্ডার করে উক্ত কাচ্চি খেয়ে ২ প্যাকেট কাচ্চিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে বিড়ালের মাংস দেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ করলে বাদী প্রতিষ্ঠান পুনরায় ২ প্যাকেট কাচ্চি দেওয়ার পরে বাদীর প্রতিষ্ঠানের খাবারে বিড়ালের মাংস আছে বলে মীমাংসার নামে ২নং বিবাদী (আব্দুল হাকিম) ১০,০০০/-টাকা দাবি করে উক্ত টাকা না দেওয়ায়, বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়ায় ২নং বিবাদীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৮৫/৫০৬/৩৪ ধারার অপরাধ এবং ১নং বিবাদী (কনক লায়লা) তার ফেসবুক আইডি হতে বাদীর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানী কর সংবাদ ফেসবুকে পোস্ট করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৫০০/৩৪ ধারার অপরাধের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তদুপরি বাদীর অভিযোগে বর্ণিত অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের মামলার ঘটনার সহিত সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস দেওয়ার মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করেন সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ। পরে ১৩ এপ্রিল আদালত এ অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিল পিবিআই।

তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, যারা কাচ্চিতে বিড়াল কিংবা কুকুরের মাংস দেয়ার অভিযোগ করেছিল তাদের উদ্দেশ্য হীন ছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সুলতান’স ডাইনের করা মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

এই ইস্যুতে যমুনা ব্যাংক খণ্ডকালীন সেই দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং এই সংক্রান্ত ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply