টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সিতে নকশি কাঁথা, জামদানি ও বাঘের ডোরাকাটা ছাপ

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দলের জার্সি নিয়ে সবসময় আগ্রহ থাকে টাইগার ভক্তদের। আর বিশ্বকাপের জার্সি হলে আগ্রহটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেয়ার আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জার্সি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যথারীতি সবুজ ও লাল রঙের মিশেলে তৈরি করা হয়েছে জার্সি। ইতোমধ্যে ভক্তদের মন জয় করেছে সেই জার্সি।

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ দলের জার্সি বানায় স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস নামের প্রতিষ্ঠান। এবারের বিশ্বকাপ জার্সি বানিয়েছে তারাই। তবে এবার নকশা দেয় বিসিসি। আর কাপড়ে বাঘের ডোরাকাটা ছাপটি সংযুক্ত করেছে স্কোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস।

জার্সির ডিজাইনে কি কি আছে? এ প্রসঙ্গে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টসের ম্যানেজিং পার্টনার মেহতাবউদ্দিন সেন্টু বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী ব্যাপারগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের ঐতিহ্য হচ্ছে সুন্দরবনের বাঘ। বাঘের ডোরা কাটা একটা স্ট্রাকচার রয়েছে বিশ্বকাপ জার্সিতে; নকশি কাঁথার ডিজাইনসহ জামদানি শাড়ির প্যাটার্ন তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ দলের মূল জার্সি লাল-সবুজ হলেও ট্রাভেল কিট ও প্রাকটিস জার্সির রঙ নীল। অনুশীলনের জার্সির কারুকাজ মন জয় করবে যে কারোই। নকশি কাথার ডিজাইনকে প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে সামনের অংশ। আর ব্যাক পার্টে আছে বাঘের মেরুদ্বন্ডের ছাপ। এছাড়াও ধর্মশালার শীতের কথা বিবেচনায় নীল রঙের জ্যাকেট ও পুলওভার তৈরি করা হয়েছে। ট্রাভেল টি-শার্ট ও প্যান্ট নীল রঙের।

এ প্রসঙ্গে মেহতাবউদ্দিন সেন্টু বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম দু’টি ম্যাচ ধর্মশালায়। সাধারণত ধর্মশালায় অনেক ঠান্ডা থাকে, তাই খেলোয়াড়দের জন্য জ্যাকেট তৈরি করেছি। কিন্তু বাদ বাকি বাংলাদেশের যেসব ম্যাচ আছে, সেখানে বেশ গরম থাকবে। তাই আমি নিশ্চিত এই জার্সিটি (বিশ্বকাপ জার্সি) খেলোয়াড়দের জন্য আরামদায়ক হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ দলের জার্সি উন্মোচনের পরদিন থেকেই নকল জার্সিতে ছেয়ে গেছে গুলিস্তান, মিরপুরসহ জার্সি বিক্রির দোকানগুলো। তবে চাইলেও কোনো সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী কিনতে পারবেন না টাইগারদের অফিসিয়াল জার্সি। কারণ এবার কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে জার্সি বিক্রির চুক্তি হয়নি বিসিবির।

/আরআইএম/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply