যুদ্ধ ছাড়া কোনো পথ খোলা রাখেনি ইসরায়েল: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত

|

মাহফুজ মিশু:

ইসরায়েলের সাথে চলমান যুদ্ধ এবার সহসাই থামছে না। যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা রাখেনি ইসরায়েল, যমুনা নিউজকে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান।

১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমে শরণার্থী। গত ৭৫ বছরে দু-তিন প্রজন্মের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পায়নি স্বাধীনতার স্বাদ। ইসরায়েলিদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্যাতিতই হয়েছে। সেই অর্থে বড় ধরনের প্রতিরোধ বা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশটি। তবে এবার ব্যতিক্রম, ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে পড়ে দেশটির সহস্রাধিক সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি বড় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ফিলিস্তিনিরা।

আর এটাকে চূড়ান্ত যুদ্ধ বলে মনে করছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত। তার মতে, সব বিভেদ ভুলে তার দেশের মানুষ এবার চূড়ান্ত রকমের ঐক্যবদ্ধ।

ইউসেফ রামাদান বলেন, সারাবিশ্বের ফিলিস্তিনিরা এবার ঐক্যবদ্ধ। হামাস বলেন, ফাত্তাহ বলেন, সবাই একাকার এখন। লক্ষ্য একটাই, স্বাধীনতা-মুক্তি। এমন দারুণ ঐক্য আগে কখনোই ছিল না। আমরা শরণার্থী হয়ে জন্মেছি, বড় হয়েছি, শরণার্থী হয়েই মরছি। কেন?

ফিলিস্তিনের গাজা এখন এখন এক মৃত্যুপুরী। মরদেহ রাখারও জায়গা হচ্ছে না মর্গগুলোতে। তারপরও পিছুটান নেই ফিলিস্তিনিদের। রক্তপাত না চাইলেও এখন তা অনিবার্য বাস্তবতা, বলছেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এরইমধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত আড়াই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা প্রকাশ্যে ইসরায়লের পাশে থাকায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জয় বা পরাজয়, এবার তা চূড়ান্ত হতে পারে। তাই যুদ্ধও হবে দীর্ঘমেয়াদী।

ইউসেফ রামাদান বলেন, ইসরায়েলের সাথে বহুবার যুদ্ধ হলেও এবারই তাদের হতাহতের সংখ্যা আমাদের চেয়ে বেশি। আমরা রক্তপাত না চাইলেও এখন আর কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য অস্ত্র নিয়েই প্রতিরোধ ফিলিস্তিনিদের করতেই হচ্ছে। এই যুদ্ধ আমি বিশ্বাস করি, খুব সহজে থামবে না।

কোনো সম্পদ না, নিজেদের মাতৃভূমি ফেরত পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিরা জীবনবাজি রাখছেন জানিয়ে এতে সবার সহযোগিতা আর সমর্থন চেয়েছেন ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply