বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল বীরত্বকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ইনজুরি নিয়ে ব্যাট হাতে উইকেটে নেমেই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন চট্টলার বীর ক্রিকেটার। পাশাপাশি, মুশফিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছেন বলে মনে করেন অধিনায়ক। কৃতিত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনকেও। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা সব বিভাগেই হেরেছে বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কা স্বীকার করেছেন দলটির অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
ধন্যবাদ দেয়ার সাবলীল ভাষাটাও যেন এদিন হারিয়ে ফেলেছেন মাশরাফি। সবার ভাবনার চোখে ধুলো দিয়ে আহতের বাঘের মতো তামিমের এই লড়াকু মানসিকতা যে বদলে দিয়েছে ম্যাচের মোমেন্টাম। তবে পেছনের কারিগর কিন্তু ক্যাপ্টেন নিজেই। তার সিদ্ধান্তেই মাঠে নামেন তামিম। এমনকি গ্লাভস কেটে প্রস্তুতও করেন দেন ম্যাশ। পরের গল্পটা ইতিহাসের পাতায় থাকবে অমলিন হয়েই।
বলেছেন, ঐ সময় ওখানে ব্যাট করতে নামার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তামিমকেই নিতে হতো। সেখানে যেকোনো কিছু ঘটতে পারতো। এটা তার ক্যারিয়ারের ব্যাপার। তামিম মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবার তাকে মনে রাখা উচিত। তামিম মাঠে নামাতে মুশফিকের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে।
লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও তামিম-মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলেছেন, মুশফিক দুর্দান্ত খেলেছে। আমি বুঝতে পেরেছিলোম তামিম নামতে পারে। ও নামার পর ৩০-৩২ রান বেশি হয়েছে। তবে এই রান আমাদের চেজ করা উচিত ছিলো। সব কৃতিত্ব বাংলাদেশকেই দিবো।
আহত তামিমের মাঠে ফিরে আসা যদি জ্বলে ওঠার মন্ত্র হয় তবে এই ম্যাচে জয়ের জ্বালানী মুশফিক-মিথুনের জুটি। নিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে এসে দলের প্রয়োজনে খেলেছেন ৬৩ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। আর যোগ্য সঙ্গে একাই শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। তাইতো সিনয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের পরফরমেন্সে এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক মাশরাফি।
বললেন, পরবর্তী লক্ষ্য আফগানিস্তান ম্যাচ। দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পর ম্যাচ ধরে ধরে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে।
শুধু তামিম নয়, পাজরের ব্যাথা নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলর মুশফিককে নিয়েও চিন্তার ভাজ বাংলাদেশ শিবিরে। তবে ইনজুরি থাকুক আর যাই হোক এমন জয়ের পর লক্ষ্যটা এখন কেবলই সামনের দিকে।
যমুনা অনলাইন: এনজে/টিএফ
Leave a reply