ডাকসু নির্বাচন ও ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায় ছাত্র সংগঠনগুলো

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যায়ল কর্তৃপক্ষ। এ সয়ম বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ডাকসু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ বৈঠক হয়।

দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হয়ে এ বৈঠক পৌনে চারটার দিকে শেষ হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন সহ-উপাচার্য নাসরিন আহমাদ ও আবদুস সামাদ, কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, প্রক্টর গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচন হতে হবে। সেটা আগামী তিন চার মাসের মধ্যেও হতে পারে।

রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানের বিষয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতিটি হলে ৩০ শতাংশের বেশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নেই। বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী। আমরা মনে করি, সব সংগঠন সহাবস্থানেই রয়েছে।

তিনি বলেন, ছাত্রদল পেট্রল বোমা ছুঁড়বে না ও ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি করবে না—এটা যদি নিশ্চিত করে তাহলে তাদের সঙ্গে সহাবস্থানে আপত্তি নেই।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি সহাবস্থানের বিষয়ে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, আমরা বারবার ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা জানায়নি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবীব বলেন, আমরা চাই নভেম্বরের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়ার জন্য, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি, সংসদীয় মূল্যবোধ বজায় রেখে আলোচনার জন্য বসেছি। বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। ছাত্র সংগঠনগুলো সহাবস্থানের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়ার অংশ। যা যা করণীয় তা হলের প্রভোস্টরা করবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply