চরম নৃশংসতা সত্ত্বেও কোন শক্তিতে বারবার পার পেয়ে যায় ইসরায়েল?

|

ইসরায়েল যেন সব আইন আর বিচারের ঊর্ধ্বে। ফিলিস্তিনে একের পর এক নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পরও তেলআবিবের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউই। গাজায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হলেও নিশ্চুপ মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এমনকি কোনো এক অদৃশ্য বাধায় ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কঠোর কোনো ভূমিকা রাখছে না আরব বিশ্বও। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, পশ্চিমাদের সমর্থনের কারণেই ধরাকে সরাজ্ঞান করছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।

হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বললেও গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেবল আবাসিক এলাকা নয়, ইহুদি দখলদার বাহিনী হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও। সেখানে বাস করতেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে পুরো এলাকা। আক্ষরিক অর্থেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুলসহ বেশিরভাগ স্থাপনা।

গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজাসহ ফিলিস্তিনের প্রতিটি এলাকায় যখন ভুলুণ্ঠিত মানবতা, তখন এই ইস্যুতে একেবারেই নিশ্চুপ বিশ্ব শান্তির নীতিনির্ধারকরা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও অন্ধ, যেন ইসরায়েলের সব দোষ মাফ। দায়সারা উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েই ক্ষান্ত তারা। গাজার হাসপাতালে এত বড় হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরও নির্বিচার হামলা অব্যাহত আছে। হামলা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপই নেই বিশ্বমহলের।

অসহায় ফিলিস্তিনিরা বলছেন, গাজার বাসিন্দাদের সাথে যা হচ্ছে তা একটা পশুর সাথেও হওয়া উচিত নয়। আপনি যতই চিৎকার করুন না কেনো, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও সেই কান্না শুনবে না।

হামাস বলছে, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর বছরের পর বছর ধরে নিপীড়ন চালানোর সাহস পাচ্ছে ইসরায়েল, তার একমাত্র কারণ পশ্চিমা শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোই তেলআবিবের এই দুঃসাহসের মূল কারণ।

এ নিয়ে হামাস মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য আমরা মার্কিন কর্তৃপক্ষ এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ি মনে করি। তাদের সমর্থন পেয়েই জায়নবাদী শক্তি গাজার নিরস্ত্র মানুষের ওপর এমন গণহত্যা চালাচ্ছে। সবশেষ এদের বর্বরতার নজির দেখলো সিভিল হাসপাতাল।

এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের বিক্ষুব্ধ মুসলিমদের অভিযোগ আরব দেশগুলোর মধ্যে বিভেদের কারণেই মাথাচাড়া দিয়েছে ইসরায়েলের ঔদ্ধত্য। তাই আরব নেতাদের এ নিয়ে এক হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান সাধারণ জনগণের। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। গাজায় চলমান পাশবিক হামলায় দেশগুলোর নেতাদের নীরব ভূমিকাই ক্ষেপিয়ে তুলছে মানুষকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply