আজমতউল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ২৪৪ রানের পুঁজি আফগানিস্তানের

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ৯৭ রানের ওপর ভর কর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের পুঁজি দাড় করিয়েছে আফগানিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই আজমতউল্লাহর সেরা ইনিংস। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ২৪৫ রান।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪১ রান। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলে কেশভ মহারাজের করা বলে গুরবাজের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে এই জুটি। ২২ বলে ৩ চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করেন গুরবাজ।

গুরবাজের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা।। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায় আফগানরা। জেরাল্ড কোয়েৎজের বলে ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ আউট হয়ে ইব্রাহীম সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ১৫ রান করে। ফর্মে থাকা শহিদিও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মহারাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ২ রান করে। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে আজমত ও রহমত শাহ মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। রহমত ফিরেছেন ৪৬ বলে ২৬ রান করে। এরপর ইকরাম আলী খিল বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১২ রান। ২ রান করে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ১১৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। 

এরপর ৭ম উইকেটে রশিদ খানকে সঙ্গী করে চাপ সামাল দেন আজমত। দু’জনে মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। রশিদ ভালো শুরু পেলেও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৬০ রানে ৭ উইকেট খোয়ালে ২০০ রানে থেমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল ব্যতিক্রম ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নুর আহমেদকে সঙ্গী করে অষ্টম উইকেটে ফের লড়াই চালান এই অলরাউন্ডার। অষ্টম উইকেট জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। ৩২ বল ২৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন নূর।

মুজিব আউট হন ৮ রান করে। তবে আজমতের দৃঢ়তায় শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যায় আফগানিস্তান। ৫০ ওভারের শেষ বলে নাভিন রান আউট হলে ২৪৪ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১০৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন আজমত। আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন জেরাল্ড কোয়েৎজে। ২টি করে উইকেট পান লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ। একটি উইকেট গেছে আন্দিলে ফেহলুকায়োর ঝুলিতে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply