তবে কি চলেই যাচ্ছেন দ্রাবিড়?

|

ছবি: সংগৃহীত

স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়েছে ক’দিন আগেই। সোনালী ট্রফি উচিয়ে ধরার যে সুপ্ত বাসনা লেপ্টে ছিল মনে, তা আহমেদাবাদের ফাইনালে ধুয়েমুছে গেছে। এখন সবকিছু আবারও নতুন করে শুরু করার পালা।

নতুন করেই যেহেতু সবকিছু ভাবছে টিমইন্ডিয়া, তাই টিমকেও গুডবাই বলার অপেক্ষায় রয়েছেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে, তিনি নাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বিশ্বকাপ পর্যন্তই যেহেতু তার চুক্তির মেয়াদ ছিল, তাই তিনি আর তা বাড়াতে চান না। বিষয়টি নাকি দ্রাবিড় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআইকে জানিয়েও দিয়েছেন।

প্রধান কোচের জায়গাটা অবশ্য একদিনের জন্যও ফাঁকা থাকছে না। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য দ্রাবিড়ের জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন তারই দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মাঠের সহযোদ্ধা ভিভিএস লাক্সমান। তিনি বর্তমানে বিসিসিআইয়ের বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লাক্সমান গেল দু’বছর দ্রাবিড়ের অনুপস্থিতিতে হেডমাস্টারের দায়িত্বও সামলেছেন।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম বলছে, ভারতের প্রধান কোচের চাকরিটা পেতে চাইছেন লাক্সমান নিজেও। এরইমধ্যে তিনি কিছুটা দৌঁড়ঝাপও করেছেন। আহমেদাবাদের ফাইনালের সময় তিনি গিয়ে নাকি বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপও সেরেছেন। গণমাধ্যমের খবর, লাক্সমান জাতীয় দলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদের চুক্তি চান। আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে তার ফুলটাইম কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হবে বলেও জানানো হয়।

প্রায় ২০ বছর জাতীয় দলের সঙ্গী ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। গেল দু’বছর তিনি আছেন কোচ হিসেবে। এত লম্বা সময় দলের সঙ্গে থাকা আর পরিবারের বাইরে থাকাটা খুবই কঠিন। তাই দ্রাবিড় আবারও তার আগের চাকরি এনসিএ’র হেড হয়ে নিজ শহর বেঙ্গালুরুতে ফিরতে চান। যাতে তিনি পরিবারের সাথে থাকতে পারেন।

আবার আরেকটি সূত্র বলছে, এনসিএ ছাড়াও ভবিষ্যতের জন্য আলাদা ভাবনাও ভেবেছেন দ্রাবিড়। আইপিএলে একটি দলের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হতে পারে তার। তবে, সবকিছুই এখন সময়ের অপেক্ষা।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply