মিয়ানমারের একের পর এক অজুহাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আটকে আছে: প্রধানমন্ত্রী

|

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিলম্বের জন্য প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমারকে দায়ি করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমার একের পর এক অজুহাত তোলায় প্রস্তুতি থাকার পরও বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মলেনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, কোনো পরিস্থিতিতেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আমার দেশে স্থায়ীভাবে রাখা সম্ভব না। আমার দেশে ইতোমধ্যে ১৬ কোটি মানুষ আছে। আমি কোনো বোঝা নিতে পারবো না। আমি এটা নিতে পারি না। আমার দেশ এই বোঝা বহন করতে পারবে না।

শরণার্থী বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে বৈরি সর্ম্পকে জড়াতে চাননা জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির মূল ক্ষমতা যাদের হাতে সেই সেনাবাহিনীর কথায় আস্থা রাখার ধৈর্য ধীরে ধীরে কমে আসছে।

এর আগে, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর বিশ্ব সম্প্রদায়কে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।

তবে, এবিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি দেশটির মুখপাত্র জ তাই বলেছিলেন, টেলিফোনে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। সংবাদ সম্মলেন তিনি বিস্তারিত কথা বলবেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর হাতে দমন-পীড়নের শিকার হন মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা। নির্যাতনের মুখে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করে মিয়ানমার। সেখানে বলা হয়, দুই মাসের মধ্যে তাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু এখনো সে প্রক্রিয়া শুরুই হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা সবকিছুতেই একমত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে কাজগুলো বাস্তবায়ন করে না তারা। এটাই সমস্যা। মিয়ানমার সবসময় নতুন নতুন অজুহাত খোঁজায় ব্যস্ত থাকে।

যমুনা অনলাইন: এফএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply