‘জাতীয় দলকে সময় দিতে আইপিএল-পিএসএলে নাম দেইনি’

|

ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অর্থাৎ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইপিএল ও পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অফার থাকলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মনোযোগ দিতে চান শুধুই জাতীয় দলের হয়ে।

আইপিএলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বলার সুযোগ নেই। জনপ্রিয়তা, টাকার ঝনঝনানি, ক্রিকেটের মানে বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হিসেবেই খ্যাতি পেয়েছে ভারতের এই লিগটি। আইপিএলের পর্দা উঠার আগে থেকেই উৎসবে ফেটে পড়ে পুরো ভারত। এ যেন তাদের ঘরোয়া লিগের বিশ্বকাপ। ভারত যখন আইপিএল নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা তখন বাংলাদেশে চলে বিতর্ক।

গতবার নাম দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সে দলভুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর নাম সরিয়ে নেন। এবারও সাকিব নেই। শুধু আইপিএল নয়, সাকিব নিজের নাম তোলেননি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব বলেন, আইপিএলে নাম দেইনি। স্বাভাবিকভাবে এতে একটা উইন্ডো (সময়) খুলবে আমার জন্য। পিএসএলে আমার ম্যানেজার যখন নাম দিয়েছিল, তখন আমি তাকে বলেছি, নামটা প্রত্যাহার করে নিতে। পিএসএলেও আমার নাম নেই। পরিকল্পনা থাকবে পুরো সময়টাই যেন জাতীয় দলে দিতে পারি।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে সরে আসার বার্তা দিয়ে সাকিব বলেন, আগে যে ফ্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতাম, হয়তো এগুলো আমি স্যাক্রিফাইস করব। তিনটি সংস্করণেই খেলছি। আশা করব, যেন খেলা আরও চালিয়ে যেতে পারি। ভবিষ্যৎ তো কেউ কখনো বলতে পারে না। তবে ইচ্ছা আছে আরও অনেক দিন ক্রিকেট খেলে যাওয়ার।

আঙুলের চোট কাটিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে ফেরা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, আশা ছিল নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজে খেলতে যাব। কারণ, চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে (আঙুলের চোট)। কিন্তু আমি দুই দিন আগে এখানে ডাক্তার দেখিয়েছি, ডাক্তার বলেছেন আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে।

সাকিব আরও বলেন, চোটের কারণে যতটুকু সময় লাগার কথা তার চেয়ে বেশি লাগছে, ছয় সপ্তাহের মতো লাগবে। তারপর পুনর্বাসন এবং ফিটনেস ফিরে পেতে হবে। বিপিএলের আগে আমি আসলে খুব একটা সুযোগ দেখছি না। এই সময়ে নির্বাচনও আছে। স্বাভাবিকভাবে বিপিএল থেকেই আমার খেলাটা আবার শুরু হবে বলে আমি মনে করি।

আইপিএল, পিএসএলের পাশাপাশি বিশ্বের আরও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাকিবের। খেলেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল), অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টেনেও।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply