পাকিস্তানিরা পুড়িয়েছিল গোলা ভরা ধান, বিএনপি পোড়াচ্ছে চাল ভরা ট্রাক: প্রধানমন্ত্রী

|

হত্যা-অগ্নিসংযোগকারীরা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় একথা বলেছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা পুড়িয়েছিল গোলা ভরা ধান, বিএনপি পোড়াচ্ছে চাল ভরা ট্রাক। সারা দেশে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ ডেকে বসে থাকছে, অথচ তাদের নিজেদেরই দেখা নেই। গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যা, রেললাইনে নাশকতা-এই হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষ মারার পরিকল্পনা করে, তারা কোন গণতন্ত্র দেবে। বিএনপি গণতন্ত্র বানান করতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা সমালোচনা করেন বাম রাজনীতিবিদদেরও। বলেন, ইদানিং অতিবামপন্থিরা বিএনপি’র সাথে নেমে পড়েছে। একদিনে জামায়াত, অন্যদিকে খুনীদের সঙ্গে বামরা। এটা আদর্শের বিকৃতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি’র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও হানাদারদের প্রেতাত্মা হয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে সচেতন হবার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, তারা ধ্বংস করতে পারে, শান্তি দিতে পারে না। কোথাও আগুন দিতে গেলে, নাশকতা করতে গেলে, দুর্বৃত্তদের সাধারণ মানুষ যেন রুখে দেয়, সে আহ্বানও জানান তিনি। বাংলাদেশকে আর কখনও পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, যে দেশের দারিদ্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নামানো হয়েছে, গৃহহীনদের ঘর তুলে দেয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে, গ্রামে গ্রামে স্কুল-কলেজ বানানো হচ্ছে, তখনও কেউ কেউ বলছে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে গেলে আজ বাংলাদেশি হিসেবে সবাই সম্মান পায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজ পাকিস্তানও বলে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। যারা এদেশকে বটমলেস বাস্কেট (তলাবিহীন ঝুড়ি) বলেছিল, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে চক্রান্ত হয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় হচ্ছে মানুষের শক্তি। সেটি আমাদের আছে এবং তা দিয়ে এসব মোকাবেলা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এখন থেকে সেভাবেই চলবে। শহীদদের কাছে এটাই অঙ্গিকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply