গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে ইউক্রেন

|

ইউক্রেনীয় সেনারা যুদ্ধযানে গোলাবারুদ লোড করছে। ছবি: আল জাজিরা।

গোলাবারুদের অভাবে সামরিক অভিযান কাটছাঁট করতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। বাধ্য হয়ে কমাতে হচ্ছে আক্রমণের মাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই লড়াইয়ের ময়দানে এই দুর্দশা ইউক্রেনীয় বাহিনীর। পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের। এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটই এখন ভুগছে প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের অভাবে। নতুন করে আসছে না সরবরাহ, হচ্ছে না উৎপাদনও। মজুতে যা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযানের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। অনুসরণ করতে হচ্ছে রক্ষণাত্মক সামরিক কৌশল। পরিস্থিতি সামাল দিতে যে পরিমাণ অস্ত্র ও গোলা-বারুদ আছে তা পুনর্বন্টন করা হয়েছে ইউনিটগুলোর মধ্যে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেকসান্দার তারনাভস্কি বলেন, গোলা-বারুদ খুব কম আছে। তাই আক্রমণের মাত্রা কমাতে বাধ্য হয়েছি আমরা। যতটুকু সম্ভব রক্ষণাত্মক সামরিক কৌশল অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ইউনিটগুলোকে।

বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, গতবছর ইউক্রেন আন্তর্জাতিক মহলের যে পরিমাণ সহায়তা পেয়েছিলো, এবছর তা কমেছে দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেকে। চলতি বছরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বড় দুটি সামরিক সহায়তা পাওয়ার কথা ছিলো দেশটির। তবে নানা সামরিক কোন্দলে আটকে গেছে দুইপক্ষের প্রায় ১শ’ বিলিয়ন ডলারের সে সহায়তা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন। তবে বিরোধী দলের আপত্তির মুখে তা বিলম্বিত হচ্ছে।

ইউরোপীয় জোটভুক্ত দেশ এস্তেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হলে ইউক্রেনের প্রতি মাসে প্রয়োজন ন্যূনতম ২ লাখ আর্টিলারি শেল। দেশটিকে প্রতিমাসে এই পরিমাণ গোলাবারুদ সরবরাহ করতে গেলে ২০২৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে ইউরোপ ও আমেরিকার গোলার মজুত।

তবে খুব দ্রুতই পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় নিজেরাই গোলাবারুদ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশাবাদী ইউক্রেন, যা আদতে সম্ভব কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দিহান আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply