নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সরকার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চাপ থাকা সত্ত্বেও, বেলারুশ ব্যতিত ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসেবে এই সার্বিয়াই রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। আর তাই, দেশটিতে এমন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি মস্কোর। তাদের অভিযোগ, সরকার হটাতে বিরোধীদের উস্কানি দেয়া হচ্ছে। খবর বিবিসির।
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে চলছে সরকার বিরোধীদের ব্যাপক বিক্ষোভ। লাগাতার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি কোথাও কোথাও রূপ নিয়েছে সংঘাত-সহিংসতায়।
যদিও কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টি। উল্টো দেশের এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দায়ী করেছে দলটির নেতারা। সার্বিয়ার ক্ষমতাসীনদের সুরে সুর মিলিয়ে রাশিয়াও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, নির্বাচনী সংস্থা ও পর্যবেক্ষকরা সার্বিয়ার নির্বাচনে এমন কোনো অনিয়ম দেখতে পায়নি, যার কারণে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। সুস্পষ্টভাবেই রাজধানী বেলগ্রেডে অস্থিতিশীলতা তৈরিতে বিদেশি শক্তিসহ তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে। তবে এটি সার্বিয়ার নিজস্ব বিষয়। আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করি না।
ক্রমাগত পশ্চিমা চাপ সত্ত্বেও কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি আলেক্সান্ডার ভুচিচের নেতৃত্বাধীন সার্ব সরকার। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরাগভাজন হয় ক্ষমতাসীনরা। তবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এখনও নীরব পশ্চিমা দেশগুলো।
দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সার্বিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের সে সম্ভাবনাও এখন ক্ষীণ। এরইমধ্যে জার্মানি দাবি করেছে, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করে ইইউ জোটের সদস্য হওয়ার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।
এসজেড/
Leave a reply