কক্সবাজার-১ আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৫ জনপ্রতিনিধি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনটি পৌঁছে দেন তারা।
আবেদনে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হক, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১৫ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষর করেন।
আবেদনে বলা হয়, বর্তমান সংসদ জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক গাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তার গঠিত অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গুম-হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া, হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ব্যানার বা ফেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিঁড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মত অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায়। আমরা জনপ্রতিনিধিগণও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ অবস্থায় কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ইসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় চকরিয়ার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের হুমকি-ধমকি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেয়া অভিযোগের প্রতিবাদে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে সিইসি বরাবর আবেদন জানায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৭ জন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
/এএম
Leave a reply