যে ভূমিকম্প মনে করাচ্ছে ১৩ বছর পূর্বের জাপানকে

|

উপর থেকে দেখা যাচ্ছে কানাজাওয়াতে ভূমিকম্পের পর ধসে পড়া বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ এ দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় ১৩ বছর আগে জাপানের দুঃসহ স্মৃতি। পুরো ওয়াজিমা শহর যেন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংযোগ ছিড়ে বিভিন্ন স্থানে হয় অগ্নিকাণ্ড। ভস্মীভূত শতাধিক ভবন।

একে তো মাত্রা শক্তিশালী। তার ওপর ভূপৃষ্ঠের অগভীর স্থানে উৎপত্তি হওয়ায় অনুভূত হয়েছে জোরালো কম্পন। শুধু তাই নয়, আফটারশক ছিলো দেড় শতাধিক। সে কারণেই ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা মারাত্মক। প্রকৃতির করাল থাবা থেকে বাদ পড়েনি মানবসৃষ্ট কোন অবকাঠামোই।

জাপানের আবহাওয়া কর্মকর্তা জানান, একের পর এক আফটারশক হয়ে চলেছে। এ সবকিছুই প্রমাণ করে, যেকোনো সময় আবারও বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। আমাদের হিসেবে ২০ শতাংশ শঙ্কা রয়েছে, আরও একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার।

ছবি: এপি

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইশিওয়াকা অঞ্চল। এরমধ্যে নানাও, ওয়াজিমা, কানাওয়াজা এই ৩ শহর তাণ্ডবের সাক্ষী। এখনও ঘরবাড়ি-স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে জাপান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের সাথে যোগ দিয়েছে সামরিক বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস।

ভূমিকম্পের প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট হয় ৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস। পানি উপচে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে ভূগর্ভস্থ টানেল ও পাতাল রেল। এখনও বন্ধ বুলেট ট্রেনের চলাচল। কর্তৃপক্ষ বলছে, অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকম্প নিরোধক সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তো।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাই আমরা হেলিকপ্টারে এসব স্থানে খাবার ও ওষুধ পাঠানোর চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য। সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আকাশ পথের পাশাপাশি সাগর পথেও চলছে উদ্ধার কাজ।

জাপানকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাহায্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেনও। এর আগে, ২০১১ সালে জাপানে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রাণ যায় প্রায় ২০ হাজার মানুষের।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply