গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাব পড়ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানে বোমা হামলা আর লেবাননে হামাস নেতাকে হত্যার ঘটনায় চুপ করে থাকবে না তেহরান এবং বৈরুত। তারওপর লোহিত সাগরে হুতিদের হামলাকে কেন্দ্র করে চলছে মার্কিন অভিযান। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, গাজার সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও। খবর রয়টার্সের।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সালেহ আল-আরৌরি নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ গাজা এবং পশ্চিম তীর। ক্ষোভ চলছে লেবাননেও। ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য হামলা চালায় লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলা। পাল্টা জবাবে লেবাননেও বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এবার হামাসের শীর্ষ এই নেতাকে হত্যার পর অঞ্চলজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়বে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, হামাস নেতার মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের শঙ্কা ২০০৬ সালের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ওই যুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষ জড়িয়ে পড়ছিল। আমরা শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সফর করবো। জর্ডান, লেবাননসহ অন্যান্য আরবদেশগুলোর নেতাদের সাথে আমরা বসবো, যাতে সহিংসতা পুরো অঞ্চলে না ছড়িয়ে পড়ে।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুতি বিদ্রোহীদের হামলাকে কেন্দ্র করে সেখানে শক্তি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে কয়েক দফায় ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের ওপর হামলাও চালানো হয়েছে। যাতে প্রাণ গেছে বেশ কিছু হুতি বিদ্রোহীর। ওই ঘটনায় লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে তেহরান। এরইমধ্যে ইরানে বোমা হামলার ঘটনায়, পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ম্যালকম ডেভিস জানান, লোহিত সাগরে হুতিদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে লড়াইয়ে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানও সেখানে তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। তারওপর বৈরুতে এ ধরনের হামলার পর সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হিজবুল্লাহ বা লেবানন হামাস নেতা নিহতের কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তার ওপর নির্ভর করছে পুরো পরিস্থিতি। পাল্টা জবাব আসলে ওই অঞ্চল আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্ব রাজনীতিতে।
এসজেড/
Leave a reply