মাদারীপুরে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, মাদারীপুর:

মাদারীপুরের কালকিনিতে ব্যালেট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ ওঠায় একটি কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পর সেখানে পুনরায় ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলার ৬৮নং দক্ষিণ রমজানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা।

বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কামরুল হাসান বলেন, ঝামেলার কথা শুনে আমরা দ্রুত কেন্দ্রে চলে আসি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও স্থানীয় সূ্ত্র জানায়, এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ। এ সময় গোলাপের সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী-সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে আসার পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

পরে ব্যালট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিতে থাকে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ করে দেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার।

অভিযোগের বিষয়ে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী বলেন, নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেয়া হয়নি। আমি কিছুই করিনি। ঈগলের এজেন্ট কোথায় তা বলতে পারবো না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে গোলাপ। প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোর ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

এ সম্পর্কে ওই প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা বলেন, এই কেন্দ্রের ভোটার ২ হাজার ৬১৯ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। এমপি সাহেব (আবদুস সোবহান গোলাপ) কেন্দ্রে আসার পরেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রটি আমরা সাময়িক বন্ধ রাখি।

ব্যালটে নৌকায় সিল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিল দেয়ার চিত্রটি আমি দেখিনি।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply