বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে স্বর্ণপদক ফেরত দিলেন সাবেক রাবি ছাত্র

|

নূরুল হুদার প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক অর্জন করেন

রাজশাহী ব্যুরো

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া স্বর্ণপদক ও স্বর্ণপদকের মূল সনদপত্র ফেরত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র মো. নূরুল হুদা। কুরিয়ারে পাঠানো পদক ও সনদ রোববার (১৪ জানুয়ারি) হাতে পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম।

নূরুল হুদা রাবির আইন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, নূরুল হুদার স্বর্ণপদক ও সনদপত্র হাতে পেয়েছি। পরে সেটি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বরাবর জমা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি তদন্ত করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রমাণ পেয়েছিল। আমার প্রত্যাশা ছিল সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তদন্তে প্রমাণিত দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সেজন্য দুর্নীতির প্রতিবাদে আমি এগুলো ফেরত দিয়েছি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকও তিনি ফেরত দিয়েছেন। এর আগে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদক ফেরত দেয়ার ঘোষণা দেন নূরুল হুদা

নূরুল হুদা রাবির আইন বিভাগ থেকে এলএলবিতে (সম্মান) সিজিপিএ-৩.৬৫ এবং এলএলএমে (স্নাতকোত্তর) ৩.৬১ অর্জন করেন।এলএলবি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তবে শিক্ষক নিয়োগের সময় তিনি সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী হওয়ার পরও তিনি নিয়োগ পাননি। তার চেয়ে সব সিজিপিএ পেয়ে অন্যরা শিক্ষক হয়েছেন।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply