‘পুরোপুরি খুশি না, মাস্টারমাইন্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিল’

|

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা খুশি, তবে পুরোপুরি খুশি হতে পারিনি। কারণ হামলার মাস্টারমাইন্ডের যথাযথ শাস্তি হয়নি বলে মনে করছি। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।’

আওয়ামী লীগ নেতারা বহু আগে থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করে আসছিলেন।

এর আগে আজ দুপুরে ঐতিহাসিক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। আর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বাকি ১১ আসামিকে নানা মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩১ জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি ১৮ জন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাহেদ নুরুদ্দীন এই রায় ঘোষণা করেন। প্রায় ১০ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আজ রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট হত্যা ও বিস্ফোরক, দুই মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন। এদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক।

ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। এর পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় অস্থায়ী আদালতের গারদে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন ও তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।

এরপরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply