ধর্ষণে জর্জরিত নোয়াখালীর সুবর্ণচর

|

নোয়াখালীর দুর্গম সুবর্ণচর যেনো ধর্ষণের আঁতুড়ঘর। নদীভাঙ্গা সর্বহারা মানুষের শেষ ঠাঁই এই চরে প্রভাবশালীদের কাছে নিরুপায় বাসিন্দারা। চাষের জমি, বাড়ির মালিকানা নেই। সে কারণে মুখ বুজেই সহ্য করছেন নির্যাতন-নিপীড়ন। তবে চান দ্রুত মুক্তি।

২০০৫ সালে উপজেলার মর্যাদা পায় বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা এই চর সুবর্ণচর। রামগতি, সন্দ্বীপ, ভোলা, মনপুরা, হাতিয়ার নদী ভাঙনে সর্বহারা লোকজনের ঠাঁই হয় এই সুবর্ণচরে। তবে নদী ভাঙন কবলিতদের মাথা গোজার জায়গা হিসেবে নয়, সুবর্ণচরের নাম বারবার উঠে আসে ধর্ষণকাণ্ডে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের রাতে। ঘরে ঢুকে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনা আলোড়ন তোলে দেশজুড়ে। মামলা-বিচার-সাজা হলেও সুবর্ণচরে থেমে থাকেনি ধর্ষণ। পরের বছরগুলোতেও ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা ঘটে একাধিকবার। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণ কী?

দীর্ঘদিন ধরে চরে বসবাস করলেও, বেশিরভাগেরই মেলেনি ব্সতবাড়ি এবং চাষাবাদের জমির মালিকানা। এখনও প্রভাবশালীদের কাছে জিম্মি এলাকার মানুষজন। তাই নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হয় মুখ বুজে। এসব থেকে মুক্তি চাইছেন চরের বাসিন্দারা।

ঘটনার উল্টোপিঠ বলেও কিছু রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ও মামলার জালে জড়ানোর জন্যেও অনেকে সাজাচ্ছেন ধর্ষণের নাটক।

পুলিশ বলছে ধর্ষণের সবকটি ঘটনায় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সেই সাথে এসব অপরাধ দমনে নিয়মিত নজরদারিও করা হচ্ছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, যখনই কোনো ঘৃণ্য অপরাধের কথা জানতে পারি, সাথে সাথে পুলিশ সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়।

বেসরকারি তথ্যমতে ২০২২-২৩ সালে সুবর্ণচরে নারিদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২২টি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply