দুই যুগ ধরে রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ভ্লাদিমির পুতিন

|

ছবি: সংগৃহীত

গেল দুই যুগ ধরে রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ভ্লাদিমির পুতিন। কম্যুনিজম পরবর্তী রাশিয়াকে শাসন করছেন সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে। অভ্যন্তরীণ সাফল্যের পাশাপাশি পশ্চিমাদের চোখ রাঙিয়ে এনেছেন বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তির নতুন মেরুকরণও। ইউক্রেনে অভিযানের পর পুরো পশ্চিমা বিশ্বের শত্রুতে পরিণত হওয়ার পরও পিছু হঠেননি সিদ্ধান্ত থেকে।

২০০০ সাল থেকে ২০০৮…. এরপর আবারও ২০১২ থেকে ২০২৪… শপথ গ্রহণের এই দৃশ্যটুকুতে পার্থক্য যেন শুধু সময়। রাশিয়ার ক্ষমতা মানেই যেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০০৮ থেকে ২০১২, এই চার বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও ক্ষমতার লাগাম ছিলো তার নিজের হাতেই।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র এজেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৯৯০ সালে লেনিনগ্রাদের মেয়র হিসেবে রাজনীতিতে পথচলা শুরু। এরপর থেকেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রায় ২৪ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছেন পুতিন। কম্যুনিজম পরবর্তী রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতাসীন ভ্লাদিমির পুতিন। সোভিয়েত যুগে তার চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন কেবল একজনই- জোসেফ স্টালিন।

৩ দফায় প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন একবার। এই শতকে বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী রাষ্ট্রনায়ক পুতিনই। নেই কার্যকর কোনো প্রতিদ্বন্ধী কিংবা বিরোধী নেতা। ফলে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও জয়ী হবেন, এমনটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

একরোখা মনোভাব, বিশ্বরাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা তো ছিলোই। এর পাশাপাশি পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোকে সাথে বিশ্ব রাজনীতির নতুন মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুতিন। তারমধ্যেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর পুরো পশ্চিমা বিশ্বের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন পুতিন।

শুধু রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেই পুতিন সরব দেশ-বিদেশে সরব, তা নয়, নানা রকম ব্যতিক্রমী কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেও সর্বদা থেকেছেন আলোচনায়। স্পোর্টসম্যানশিপের জন্য আলোচিত এই নেতা, বিভিন্ন সময়ই শিরোনাম হয়েছেন। কখনো আকাশ ছুতে চেয়েছেন গ্লাইডারে চেপে, আবার কখনো সাবমেরিনে ডুব দিয়েছেন সাগড়ের গভীরে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply