পাঞ্জাবির সমারোহে রাজধানীর বিপণিবিতান

|

এবার ঈদে পাঞ্জাবির ডিজাইন ও প্যাটার্নে থাকছে নতুন সব সংযোজন। রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা মেলে নিত্যনতুন পাঞ্জাবির। ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোয় এরইমধ্যে বসেছে পাঞ্জাবির পসরা। তরুণ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে এসেছে ফ্যাশনেবল পরিবর্তন।

একজন ক্রেতা বলেন, কটন (সুতি) পরা হয়েছে। এখন সিল্কের দিকে যেতে চাচ্ছি। একটু ভিন্ন কিছু কিনতে চাই। আর বয়সীদের জন্য কটনের পাঞ্জাবিই কেনার ইচ্ছে আছে। এক শোরুমের ব্যবস্থাপকের জবানিতে এলো অ্যান্ডি কটন, অ্যান্ডি সিল্ক, ধুপিয়ান সিল্ক, ভয়েল কটন, ইত্যাদির চাহিদার কথা। তিনি জানান, এই কাপড়গুলোই বেশি থাকে আমাদের কাছে। এবার কাটিংয়ের মধ্যে একটু ভিন্নতা আছে। যেমন পাঞ্জাবির তিনটা কাটিং– কলিদার, স্লিম ফিট ও ফরমাল কাট। আরেক বিক্রয়কর্মী বলেন, আমাদের এখানে সব লং ফেব্রিকস রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কাপড় আছে ভিসকোসের। প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির মধ্যে কিছু আসবে। কাবলি পাঞ্জাবিও আসবে।

চৈত্রে এবারের ঈদ। আবহাওয়া বেশ গরম থাকার আশঙ্কায় পাঞ্জাবিতে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি ও অ্যান্ডি কটন। চোখে পড়বে সিল্ক ও খাদি কাপড়ের পাঞ্জাবিও।

আরেক ক্রেতা বলেন, গরম যেহেতু পড়েছে, আমি তাই প্রেফার করি ‘খাদি’। আমি খাদির পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করি অথবা সুতির। একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, গরমের কথা চিন্তা করে কটনকে প্রাধান্য দিয়েছি বেশি। পাশাপাশি সিল্ক, ধুপিয়ান সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্কেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে পাঞ্জাবিতে।

রমজানের ঈদে পুরুষের পাঞ্জাবি ঐতিহ্যের অংশ। তাই রোজার আগেই ফ্যাশন হাউজগুলো তাদের নিত্যনতুন নকশা উপস্থাপন করেছে। ক্রেতারাও মার্কেট ঘুরে ঘুরে দেখছেন হাল ফ্যাশনের কালেকশন। বিক্রেতাদের প্রত্যাশা, ১৫ রোজার পরপরই পাঞ্জাবির দোকানে বাড়বে ক্রেতাদের আরও ভিড়।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply