চামড়াবিহীন জুতায় সম্ভাবনা

|

রিমন রহমান:

দেশে দিন দিন বাড়ছে চামড়াবিহীন জুতার উৎপাদন। চাহিদা থাকায় ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে বাড়ছে দখলদারিত্ব-ও। বাহারি জুতা রফতানি করে মিলছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। এছাড়া, নন-লেদার জুতা তৈরির সবুজ সনদপ্রাপ্ত কারখানায় বাড়ছে কর্মব্যস্ততা। মূলধন যোগান ও নীতি সহায়তা মিললে পাদুকা শিল্পই হতে পারে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।

এসব কারখানা বিদেশ থেকে আনা কাঁচামালে দেশের শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে তৈরি হয় একেকটি জুতা। শতভাগ রফতানিনির্ভর এসব জুতার বড় গন্তব্য ইউরোপ। আর যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বড় হচ্ছে নন-লেদার জুতার বাজার।

সম্প্রতি রাজধানীর একটু দূরে ভালুকায় যাওয়া হয় সুনির্ভাস ফুটওয়্যারে। দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এই কারখানার কর্মীদের বড় অংশই নারী। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এসব কর্মীদের দেয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।

কয়েকজন শ্রমিক জানালেন, প্রতিমাসেই কাজ থাকে। তাই তাদের বসে থাকতে হয় না। আর মজুরি নিয়েও অসন্তুষ্টি নেই তাদের।

প্রতি মাসে এ কারখানায় তৈরি হয় প্রায় ২ লাখ জোড়া জুতা। রফতানি করে মিলছে বৈদেশিক মুদ্রা। বিশ্ব বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে পণ্যে বৈচিত্র আনার কথা বললেন সুনির্ভাস ফুটওয়্যারের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান শ্রাবন।

তিনি বলেন, কারখানায় ডে লাইট সেভিং টাইম ব্যাবহার করা হয়, কার্বন নিঃসরণ কম হচ্ছে। নিসন্দেহে এটা একটা বিশেষত্ব। আমাদের এখানে কর্মীদের সুবিধা ও কর্মপরিবেশ বেশ ভালো।

ঝুঁকিপূর্ণ হলেও একক পণ্যে নির্ভর দেশের রফতানি বাজার। উদ্যোক্তারা মনে করেন, একক পণ্যের নির্ভরতা কমানো দরকার। এক্ষেত্রে দরকার সঠিক নীতি সহায়তা।

সুনিভার্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা ৪ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছি। এই প্রণোদনাকে সাধারণ প্রণোদনার পর্যায়ে রাখার দরকার নেই বলে মনে করি। এই পণ্যের যে চাহিদা ও রফতানি করে যে অর্থ আসছে, সেটার সাথে এটাকে কনভার্ট করা গেলে আমরা আরও বেশি কাজে লাগাতে পারতাম।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে চায় এই খাতে দেশের একমাত্র সবুজ সনদপ্রাপ্ত এই কারখানা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply