হরিপুরে একই কূপে তেল-গ্যাস: বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি

|

নূরনবী সরকার:

খোঁজা হচ্ছিল গ্যাস, সেই কূপে মিললো জ্বালানি তেল। সিলেটের তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাঘের সড়ক এলাকায় কূপটির অবস্থান। সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর এবার বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এখানে গ্যাসের সর্বোচ্চ চাপ পাওয়া গেছে, প্রায় ৬ হাজার পিএসএ। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশে তেল আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এটা যুগান্তকারী প্রকল্প হবে। যেই প্রেসারে তেল উঠছে সেটা এখন বুঝা যায়, তবে আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রিজার্ভ দেখে তারপর বলতে পারবো। দুই মাস লাগবে।

সম্ভাব্য হিসাবের অঙ্ক বলছে, ২০ বছর ধরে এই কূপ থেকে তেল উৎপাদন সম্ভব হবে। উৎপাদিত ক্রুড অয়েল প্রক্রিয়াজাত করে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন মিলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কূপ থেকে ৬ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন করা যাবে। যার আর্থিক মূল্য ৭ হাজার কোটি টাকা। আর গ্যাস মিলবে ৪ হাজার ৩শ’ লাখ ঘনফুট। যার আর্থিক মূল্য ৮ হাজার কোটি টাকা। আবার এই গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট রূপান্তর করেও জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, কখনোই আমরা আবিষ্কৃত তেলগুলোকে নিয়ম অনুযায়ী সমন্বিতভাবে উন্নয়নের দিকে যায়নি। মাথায় আছে গ্যাসটা আমাদের প্রধান জিনিস, তেলটা চলে আসছে, আসতে দাও। আমরা এভাবে তেলটাকে উত্তোলন করেছি। কিন্তু এটাতে যে সম্ভাবনা আছে, তেলের অনুসন্ধানে যদি জোর দিই এবং এর উন্নয়নে কাজ করি, তাহলে বাংলাদেশে এখন যে পরিমাণ তেল উৎপাদন হয় এরচেয়ে বেশি হবে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে দ্রুত খনি উন্নয়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এর আগে ১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে তেলের খনি পাওয়া গিয়েছিল। যার স্থায়িত্ব ছিল ৫ বছর।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply