মোস্তাফিজের জিম্বাবুয়ে সিরিজের চেয়ে আইপিএলে খেলা গুরুত্বপূর্ণ: আকরাম

|

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএল নাকি দেশের হয়ে খেলা উচিৎ মোস্তাফিজুর রহমানের? এ নিয়ে বিতর্ক যখন চরমে তখন ফিজের পাশে দাঁড়ালেন আকরাম খান। সাবেক এই অধিনায়কের মতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের থেকে আইপিএল খেলা গুরুত্বপূর্ণ তার জন্য। এই অভিজ্ঞতা দেশের জন্য কাজে লাগবে সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিত খেললেও, কেন ছাড়পত্র দেয়া হয়না তাসকিনকে- এ নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি বিসিবির এই পরিচালক।

৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সবার উপরে আছেন রাজস্থান রয়্যালসের স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল। সমান ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে দুইয়ে আছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতের এই তারকা পেসারের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে সমান ১০ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ আছেন তালিকার তিনে। এমন ছন্দে থাকলেও পুরো মৌসুম বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসারকে পাবে না চেন্নাই। মূলত অনাপত্তি পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে হবে তাকে।

বিসিবির পক্ষ থেকে মোস্তাফিজকে অনাপত্তি পত্র দেয়া হয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মাঝে তিনটি ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। যেখানে ১৯ ও ২৩ এপ্রিল লাখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং ২৮ এপ্রিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। মূলত ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফিরতে হবে মোস্তাফিজকে। যদিও বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা।

সবারই চাওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে না খেলিয়ে আইপিএলের পুরো মৌসুমের জন্য ছেড়ে দেয়া হোক মোস্তাফিজকে। অন্যান্যদের মতো একই সুরে কথা বলেছেন আকরাম। বিসিবি পরিচালক ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের চাওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএল খেলবে বেশি কিছু শিখতে পারবেন মোস্তাফিজ। তাতে করে বাঁহাতি এই পেসার যেমন উপকৃত হবেন তেমনি বাংলাদেশও লাভবান হবে বিশ্বকাপে।

মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আকরাম বলেন, মোস্তাফিজ যে ধরনের খেলোয়াড় ওকে যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি শতভাগ লাভবান হবেন। যেটা আপনার ধোনির দল করছে। আপনি দেখুন, কলকাতার বিপক্ষে ও যেভাবে বোলিং করেছে, যে পরিকল্পনা করেছে। সত্যি কথা বলতে ও চেন্নাইয়ের হয়ে যত ম্যাচ খেলবে সে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে তার সঙ্গে বাংলাদেশও লাভবান হবে। কারণ জিম্বাবুয়ের সাথে খেলার চেয়ে ওখানে খেললে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ড্রেসিং রুমের ব্যাপার আছে, বড় খেলোয়াড়দের সাথে খেলবে, ওখানকার মান ভালো, বিভিন্ন উইকেট, বিভিন্ন মানের খেলোয়াড়ের সাথে খেলবে। আমার মনে হয় ওর সুযোগ পাওয়া উচিত।

অভিষেকের পর বোলিং বৈচিত্র দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। প্রথম দুই বছরে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে কাঁধের অপারেশন করার পর নিজের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। সবশেষ কয়েক বছরে দেখা মেলেনি পুরনো মোস্তাফিজকে। তবে চেন্নাইয়ের জার্সিতে তুলনামূলক ভালো করছেন বাঁহাতি এই পেসার। যার ফলে মোস্তাফিজের অনাপত্তি পত্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বোর্ডকে ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন আকরাম।

বিসিবির এই পরিচালক বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ ও গত এক বছর ধরে ধুঁকছিল। আইপিএলে কিন্তু ওর পারফরম্যান্স ভালোর দিকেই যাচ্ছে, একদম যে ভালো হচ্ছে তা না। যেহেতু ও লঙ্গার ভার্সনে খেলে না আইপিএলে গিয়ে যদি এরকম ভালো করতে থাকে তাহলে বিশ্বকাপে আমরা বেশি লাভবান হবো। এই জিনিসটা চিন্তা করতে পারে বোর্ড। তারপরও এটা নির্ভর করছে টিম স্টাফ, নির্বাচক যারা আছেন তারা চিন্তা-ভাবনা করবে। কিন্তু ও যে ভালো করছে এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো।

এদিকে, নাজমুল শান্তকে ডিপিএলে সেঞ্চুরি করতে দেখে স্বস্তিতে আকরাম খান। শান্তর মতো লিটস দাসও যদি এই ম্যাচগুলো খেলতে আদতে তা সব পক্ষের জন্য লাভবান হত বলে বিশ্বাস আকরাম খানের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply