উপজেলা ভোট: প্রার্থিতা উন্মুক্ত করায় বিপাকে পড়তে পারে আ. লীগ

|

বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ভোট বর্জন করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কৌশল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেই সুযোগ নিতে প্রায় অর্ধশত উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছিলেন। এদের মধ্যে ত্রিশ জনেরও বেশি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে এদের অনেকেই নির্বাচনে জিততে পারেননি।

এদের মধ্যে একজন গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার কাবির মিয়া। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যানের পুরনো চেয়ারে ফিরতে চান তিনি।

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গে কাবির মিয়া বলছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হলেও মানুষ আমাকে প্রচুর ভোট দিয়েছে। তাদেরকে নিয়েই আমি থাকতে চাই। এজন্য উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দেশজুড়ে এমন আরও অনেকেই রয়েছেন, যারা নিজের ছেড়ে দেয়া পদে আবার ফিরতে চান। এদের মধ্যে যেমন রয়েছেন খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদের আকরাম হোসেন, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের তারিকুল ইসলাম তারিক, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গাজী মাইনউদ্দিন।

কেবল তারা নন, সাবেক সংসদ সদস্যেরও নজর রয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিকে। একাদশ সংসদের সাবেক এমপি জাফর আলম দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৫২ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনিও প্রার্থী হতে চান। জানালেন, দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তৃণমূলের নেতাদের এমন আচরণে অস্বস্তিতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, কারও কারও কাছে নির্বাচন অংশগ্রহণ করা একটি নেশার মতো। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে থাকে। আবার কারও যেকোনো একটি চেয়ার বা ক্ষমতা লাভের একটি প্রবণতা থাকে। যেহেতু এটি একটি উন্মুক্ত নির্বাচন, তাই কেউ কাউকে বাধা দিতে পারছে না। সবাই এখানে প্রার্থী হতে পারছে। দলীয় মনোনয়নের পদ্ধতি থাকলে এটি হতো না।

মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ক্ষমতা আকড়ে রাখার এই প্রবণতা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবেও বলে আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply