ব্যারিস্টার খোকনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

|

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি প্রত্যাহারের চিঠি পাঠান ফোরামের দফতর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান। চিঠিতে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মতিতে অব্যাহতি পত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই সংগঠন। তার কার্যকলাপকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেব গণ্য করে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে ফোরামের দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

অব্যাহতির প্রতিক্রিয়ায় একদিন পর সংবাদ সম্মেলন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি। এ সময় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব কায়সার কামালকে নিয়ে বিষোদগার করেন।

এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্যাডে কায়সার কামালকে চিঠি দিয়েছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। সংবাদ সম্মেলনে কায়সার কামালকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফলের অভিযোগ করে আইনজীবী ফোরাম।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, মারধর, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। মামলায় বিএনপিপন্থী একাধিক আইনজীবীকে আসামি করা হয়, গ্রেফতারও করা হয়।

এ পরিস্থিতিতে বিজয়ী সভাপতি পদ ছাড়া আরও তিন সদস্যকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমিতির এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ না করার আহ্বান জানায়। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন দায়িত্ব নেন। এছাড়া তিনি ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই সংগঠন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply