ডর্টমুন্ড, নাকি এমবাপ্পের পিএসজি?

|

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২য় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আজ জার্মান প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। বুধবার (১ মে দিবাগত) রাত ১টায় শুরু হবে ২য় সেমিফাইনালের প্রথম লেগ। কে জিতবে এই যুদ্ধ? হলুদ শিবির, নাকি এমবাপ্পের দল?

পিএসজি ১২তম বারের মতো মাত্রই জিতেছে ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা। কিন্তু প্যারিসিয়ানদের চোখ আসলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। কাতার ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মালিকানায় ক্লাবটির স্বপ্ন আসলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। ২০২০ সালে একবারই ফাইনাল খেললেও হারই ছিল সাথী।

এবার সিগন্যাল ইদুনা পার্কে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তাদের অপেক্ষায় সেমিফাইনালের প্রথম লেগের জন্য। যেখানে আগে তিনবার খেলে কখনোই জিততে পারেনি পিএসজি। হেরেছে একটি এবং ড্র করে ফিরেছে বাকি দুটিতে। তারপরও ফেভারিট ঐ প্যারিসিয়ানরা।

কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন দারুণ ফর্মে, চলতি আসরে এখন পর্যন্ত করেছেন ৮ গোল। সবশেষ ম্যাচেও কোচ লুইস এনরিকে তাকে ৪৫ মিনিট বসিয়ে রেখেছিলেন শুধু এই সেমিফাইনালের কথা চিন্তা করে। আর মাত্র দুই গোল করলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের হাফসেঞ্চুরি পুরণ করবেন এমবাপ্পে।

কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারানো পিএসজি সেমিফাইনালে ফিরে পাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফ্যাবিয়ান রুইজকে। তারপরও কোচ লুইস এনরিকে সতর্ক। কারণ, ইদুনা পার্কের হলুদ সমর্থকদের সামনে ডর্টমুন্ড সবসময়ই দুর্দান্ত।

এনরিকে বলেন, ইউরোপের অসাধারণ একটি মাঠে আমরা আবার খেলতে নামছি। আমরা হলুদ সমুদ্রের উচ্ছ্বাস ও ঢেউ মাঠে স্তব্ধ করে দিতে চাই। ফাইনালের পথে পা বাড়াতে চাই, যা আমরা এই মৌসুমে দেখিয়ে এসেছি। তবে কাজটি দারুণ কঠিন, অন্তত এখানে। তারপরও উপভোগই আমাদের লক্ষ্য।

অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরোয়া পারফরমেন্স যা-তা! সবশেষ লিগ ম্যাচে লাইপজিগের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া তারই প্রমাণ। কোচ এডিন তেরজিক বরং ভরসা রাখছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পারফরমেন্সের ওপর। অ্যাটলেটিকোকে হারানোর স্মৃতিকে সামনে এনে উজ্জীবিত করছেন গোটা দলকে। অস্ট্রিয়ান মার্সেল সেবিটজারের দুর্দান্ত ফর্ম তার বড় ভরসা।

বরুশিয়ার কোচ বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ পারফরমেন্স করতে হবে। ফাইনালে যেতে হলে দুই লেগ মিলিয়ে ১৮০ মিনিটের চ্যালেঞ্জ জিততে হবে। ডর্টমুন্ড ও প্যারিস দুই শহরের জন্যই আমরা প্রস্তুত।

এই ম্যাচে ডিফেন্ডার ম্যাট হ্যামেলস ফিরছেন বরুশিয়া একাদশে। তবে স্ট্রাইকার সেবাশ্চিয়ান হেলারের খেলা অনিশ্চিত। মজার ব্যাপার হলো, দুদলই এসেছে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে। শেষ ষোলোতে পিএসজি আসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর ডর্টমুন্ড পা রেখেছিল রানার্সআপ হয়ে। যেখানে প্রথম দফায় এমবাপ্পে ও হাকিমির গোলে জয় ছিল পিএসজির। আর দুদলের ২য় লেগ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply