এমপিদের তুলনায় অবিশ্বাস্যভাবে সম্পদ বেড়েছে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের: টিআইবি

|

১ম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৫৬% প্রার্থী ব্যবসায়ী। রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের এমন সম্পৃক্ততাকে অস্বাভাবিক বলছে টিআইবি। জনস্বার্থ ও গণতন্ত্রের জন্য এটি ইতিবাচক নয় বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে এমপিদের তুলনায় অবিশ্বাস্যভাবে সম্পদ বেড়েছে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের। ১ম ধাপের নির্বাচনে ৭ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার বেশি। যা গত উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণ।

আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার (৬ মে) হলফনামা বিশ্লেষণ ও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে টিআইবি।

ইসি প্রকাশিত ১৪৪ উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামা অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫৬০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৪৩৫ জন। যাদের ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। প্রার্থীদের প্রায় ১৭ শতাংশ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। প্রায় ২৩ শতাংশ প্রার্থী ঋণ খেলাপি। ১০০ বিঘার উপর জমি আছে ১০ জনের। যা আইনসম্মত নয়।

হলফনামা বিশ্লেষণপত্রে এই সংস্থা জানায়, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে। ১৪৪ উপজেলায় ১১৭ জন প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার বেশি। গত ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন এমপিদের। সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে এ হার ৩০৬৫ শতাংশ। যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ৪২০০ শতাংশের বেশি।

এ সময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের দেয়া আয়ের তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। ইসি, দুদক, রাজস্ব বোর্ড দায়িত্ব পালন করে না। নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক দেখাতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে বারবার কৌশল পরিবর্তন করছে ক্ষমতাসীনরা। মন্ত্রী এমপিদের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি স্বজনদের মনোনয়নের সমালোচনা করেন তিনি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের মতে, নির্বাচন ঘিরে দলীয় সিদ্ধান্ত মানার চর্চা কমে গেছে। এতে সুস্থ প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। জনস্বার্থ নয়, ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দাপট বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। এতে পেশীশক্তি আর অর্থ ব্যবহারে অনুপ্রবেশ ঘটছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply