সাবেক চীপ হুইপের এপিএস পরিচয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা

|

বাউফল করেসপনডেন্ট:

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ রাহাত ওরফে জামশেদ এ অভিযোগ তোলেন।

জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী পোস্টার ও লিফলেটে সাবেক ও বর্তমান কোনো রাজনৈতিক বা সরকারি পদবী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা লঙ্ঘন করেছেন আনিছুর রহমান। ৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া প্রচারণায়, পোস্টার ও লিফলেটে দশম জাতীয় সংসদের মাননীয় চীপ হুইপ এর এপিএস পদবী ব্যবহার করেছেন এই প্রার্থী।

উপজেলার আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ রাহাত ওরফে জামশেদ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, হলফনামায় স্বাক্ষর না করার কারণে মো. আনিছুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করে নির্বাচন করার অনুমতি পান তিনি। অনুমতি পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট চেয়ে দেয়া এক স্ট্যাটাসে পদবী ব্যবহার করেছেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে দশম সংসদের চীপ হুইপ এর এপিএস পরিচয় ব্যবহার ছাড়াও নিজেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন তিনি।

মাহমুদ রাহাত আরও বলেন, আনিছুর রহমান বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও তিনি এই পরিচয় দিয়ে ফায়দা নিতে চাচ্ছেন। আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার।

এ বিষয়ে মো. আনিছুর রহমান যমুনা নিউজকে বলেন, আমার দৃষ্টিতে আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। কারণ, দশম সংসদের হুইপ এর এপিএস লিখলেও যার এপিএস তার নাম উল্লেখ করিনি এবং বর্তমান পদও লেখিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি বৈধ সাধারণ সম্পাদক।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বাউফল উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহীন শরীফ বলেন, আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে কোনো প্রার্থী এ ধরনের কোনো পদ-পদবী প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারবেন না। অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply