‘উত্তর কোরিয়ার গোয়েবলস’ মারা গেছেন

|


দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিচিত ছিলেন ‘উত্তর কোরিয়ার গোয়েবলস’ নামে। কয়েক দশক ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন পিয়ংইয়ং-এর প্রোপাগান্ডা বিভাগের প্রধান হিসেবে। বুধবার (৮ মে) এই প্রোপাগান্ডা কর্মকর্তা কিম কি নামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ৯৪ বছর বয়সে কিম কি নাম মারা গেছেন। মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গণমাধ্যমটি। এদিন দিবাগত রাতেই তার শেষকৃত্যে অংশ নেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তিনি বলেন, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত ছিলেন কিম কি নাম। এসময় তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।

দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কিম কি নাম। চাকরির বয়স সীমায় ক্ষমতায় পেয়েছেন উত্তর কোরিয়ার তিন প্রজন্মের নেতাকেই। ১৯৬৬ সালে পিয়ংইয়ং-এর প্রোপাগান্ডা বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। কাজ করেছেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গেও। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের মুখপাত্রের ভূমিকাও পালন করেন তিনি। ২০১৭ সালে অবসরে যান কিম কি নাম।

প্রসঙ্গত, পল জোসেফ গোয়েবলস ছিলেন এডলফ হিটলারের প্রধান সহযোগী এবং তার একনিষ্ঠ অনুসারী। গোয়েবলস ১৯৩৩-৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং ইহুদি বিরোধী তৎপরতার জন্য তিনি কুখ্যাত ছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমন সংবাদপত্র, রেডিও, চলচ্চিত্র ব্যবহার করে নাৎসিদের নানা বিষয় প্রচারে দক্ষতা ছিল গোয়েবলসের। এছাড়া, তিনি জার্মানির ভেতর তথ্যপ্রবাহের বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করতেন। হিস্টোরি ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে স্ত্রী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন গোয়েবলস।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply