কমছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি, ঋণের সুদহার বৃদ্ধিতে সঙ্কট বাড়ছে

|

রিমন রহমান:

কমছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এক সময় সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৭ ভাগের উপরে ছিল জিডিপি। কিন্তু এখন এর বিপরীত চিত্র, হঠাৎ করেই যেন ছন্দপতন। করোনা সংক্রমণ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থমকে দিয়েছে অর্থনীতির গতি।

করোনা মহামারি ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সঙ্কট অন্যান্য দেশ কাটিয়ে উঠতে পারলেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে না আনা গেলে সঙ্কট বাড়বে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির হিসাব উদ্বেগজনক। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেখা যায়, অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৩ দশমিক ৭৮ ভাগ। কিন্তু তার আগের দুই বছরের একই সময়ে হার ছিল সাতভাগের বেশি।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি খাতের সাথে বসতে হবে, বিভিন্ন বিভাগের সাথে বসতে হবে। আমাদেরকে সবসময় অর্থনৈতিক সঙ্কটের বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। আর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বসে জানাতে হবে, কেমন নীতিমালার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। নীতিমালা করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তা কিন্তু আমরা হজম করতে পারবো না।

কৃষি, শিল্প ও সেবা— তিন খাতেই কমছে প্রবৃদ্ধির হার। সবচেয়ে নেতিবাচক অবস্থানে সেবাখাত। তারপরই শিল্প ও কৃষি খাতের অবস্থান। বলা হচ্ছে, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনে গতিকম। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বৃদ্ধির পথে হাঁটছে সরকার। ডলারের অপ্রাপ্যতাও বাধাগ্রস্ত করছে উৎপাদন।

রিজওয়ান রাহমান প্রশ্ন রাখেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে দেশ। এটি হয়ে গেলে ওষুধ, পাট, চামড়া ও পোশাক শিল্পের কী হবে?

ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বস্তিদায়ক অবস্থা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। তা না হলে কমে যাবে কর্মসংস্থান। ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করারও দাবি উঠেছে।

ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আমদানি বিধি-নিষেধে যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়েছে, তাতে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের জন্য এটা বড় একটা সমস্যা ছিল।

উত্তরণে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান। বললেন, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু। আমাদের এখানে এতদিন অর্থনীতি স্থবির ছিল; দিনে এনে দিনে খাই যেটাকে বলতো। এটাকে ভেঙে এখন কর্মাশিয়াল হচ্ছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply