রাজবাড়ীতে বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী কারাগারে

|

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাজবাড়ীতে বিএনপির ২৭জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে এসব নেতাকর্মী রাজবাড়ীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এ মজিদ বিশ্বাস, আকমল হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আতাহার হোসেন তকদির, তাঁত-মৎস্যজীবী ও উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, সহ-প্রচার সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য বেলায়েত হোসেন, খোন্দকার ফারুকুল ইসলাম ওরফে ফারুক, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এ সবুর শাহিন, পৌর বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম দুলাল, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহসানুল করিম হিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবাইদুল ইসলাম মিরাজ, তরুণ দলের সভাপতি এসএম কাউছার মাহমুদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, প্রচার সম্পাদক ইন্তেখাবুল ইসলাম রাজু, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ফারুক, গোলাম মতুর্জা, আব্দুল খালেক ওরফে মো.খালেক, মিজানুর রহমান মামুন, আনিচ পাটোয়ারী, মজিবর রহমান, আলী আহম্মেদ আরজু, মইনুল হক মৃধা মিলন, কাজী আজাদ হোসেন আজাদ, আরিফুর রহমান শামীম, খালিদ হাসান মুহাম্মদ হাফিজ ওরফে মো. হাসান, শাহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদুল ও লতিফ সরদার ওরফে আব্দুল লতিফ।

মামলার বাদী রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী শহরের আজাদী ময়দানের সন্নিকটে পাকা রাস্তার উপর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা লাঠিশোঠাসহ সমবেত হয়ে বিভিন্ন উস্কানীমুলক শ্লোগান দিয়ে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ তাদেরকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে নিষেধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় চলাচলরত ২-৩টি রিক্সা ভাংচুর করে। এতে চলাচলরত জনসাধারণ আতংকগ্রস্ত হয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এ সময় তাদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলের আঘাতে কনস্টেবল হেদায়েত ও রফিকুল ইসলাম জখম হয়। এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান লাল ও সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারীকে গ্রেফতার করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি (আবুল কালাম) বাদী হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী সদর থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply