পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

|

সুনামগঞ্জ করেসপনডেন্ট:

ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে নামা পাহাড়ি ঢল ও সুনামগঞ্জে অতিবৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে প্রায় জেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের তোড়ে বেরিবাঁধ ভেঙে অনেক বসত ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছড়া উপড়ে পড়েছে গাছপালা, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে।

রোববার (১৬ জুন) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর বাঁধ ভেঙে নোয়াপাড়া, রশরাই, লক্ষীপুর সুলতানপুরসহ আশেপাশের ২০টি গ্রামের প্রায় শতাধিক বসতঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে গত ৪৮ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৯৫২ ও সুনামগঞ্জে ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও তাহিরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৮০টি ওপরে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অনেক বাড়িঘড় পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া, মুরগির খামার ও পুকুরের মাছও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে।

অপর এক বাসিন্দা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নদীর বাঁধের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে না। এর ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে, আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস দিয়েছে ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে জেলায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়াসহ বন্যা মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতির নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল টিম ও জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবারসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র মজুদ রয়েছে। এমন পরিস্থিতে অনেকসময় নৌকার সঙ্কট দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply