‘রোনালদোর মায়াকান্না কি শেষ হয়েছে, আর পারা যায় না’

|

ছবি: সংগৃহীত

মঞ্চ তৈরি ছিল। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সামনে সুযোগ এসেছিল রেকর্ড গড়া গোলে পর্তুগালকে জেতানোর। কিন্তু স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন রোনালদো। দলকে জেতানোর এবং টানা ষষ্ঠ ইউরোতে গোল করার রেকর্ড গড়ার সুযোগ মিস করে কান্নায় ভেঙে পড়েন পর্তুগিজ তারকা। এই কান্না নিয়ে তৈরি হয় নানা হাস্যরস।

আবেগপ্রবণ রোনালদোর কান্না দেখে গ্যালারিতে বসা মা মারিয়া স্যান্টোস ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। রোনালদো আগেও জানিয়েছিলেন তার মা খেলা নিয়ে আবেগপ্রবণ। সেই কারণে মাকে খেলা দেখতে আসতেও বারণ করেছিলেন রোনালদো। দু’বার বড় ম্যাচ দেখতে এসে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন রোনালদোর মা। কিন্তু দেশের ম্যাচ থাকলে রোনালদোর মা বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না তাইতো ইউরো দেখতে চলে এসেছেন জার্মানিতে।

স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। রোনালদো সেই সুযোগ নষ্ট করেন। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে গোল করতে ভুল করেননি রোনালদো। স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে পর্তুগীজ তারকা রোনালদো বলেন, এটাই আমার শেষ ইউরো। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার জন্য আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি না। যেভাবে সমর্থক এবং পরিবার পাশে রয়েছে তা দেখে আমি আপ্লুত।

টাইব্রেকারে গোল পাওয়া রোনালদোকে এরপর পড়তে হয়েছে আরেক বিড়ম্বনায়। তার কান্না যে হাসির খোরাক হয়েছে বিশ্বজোড়া ফুটবলপ্রেমীদের জন্য! একজন এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী রোনালদোর কান্না নিয়ে মন্তব্য করেন। যেখানে লেখা ছিল, আমি দুঃখিত। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কান্নার চেয়ে মজার আর কিছু হতে পারে না। ম্যাচ চলাকালে এভাবে কান্না করতে পারেন না আপনি।

আরেকজন ভক্ত রোনালদোর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে লেখেন, আমি আপনাদের এমন কিছু বলছি, যেটা মজার নয়। এই মুহূর্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঝমাঠে বসে বাচ্চা একটি মেয়ের মতো কাঁদছেন।

আরেকজন ভক্ত লিখেছেন, ব্রুনো (ফার্নান্দেজ) বিশ্বের অন্যতম সেরা পেনাল্টি শুটার। রোনালদোর এটি নেয়ার কোনো দরকার ছিল না। তবে পতনের আগে গর্ব তো আসেই।

টমি নামের এক ভক্ত সিআরসেভেনের দুঃখের মধ্যে বিনোদন খুঁজে পেয়ে লিখেছেন, আমি দুঃখিত কিন্তু রোনালদোর কান্নার চেয়ে মজার আর কিছু নেই।

জশ বয়েজ নামের এক ফুটবলপ্রেমীর পোস্টে লিখেছেন, রোনালদো কাঁদছেন। কারণ, রোনালদো বুঝে ফেলেছেন যে তিনি শেষ হয়ে গেছেন। সিআরসেভেনের দুঃখের মধ্যে বিনোদন খুঁজে পেয়ে আরেকজন লিখেছেন, রোনালদোর মায়াকান্না কি শেষ হয়েছে, আর পারা যায় না।

রোনালদোর কান্না খেলা শেষে বদলে যায় হাসিতে, গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার বীরত্বে ইউরোর শেষ আটে উঠে পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। শুক্রবার রাতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply