পুলিশ কনস্টেবল থেকে ভারতজুড়ে আলোচিত কে এই ‘ভোলে বাবা’

|

সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে হিন্দু সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২১ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হাথরাস জেলার সিকানদ্রারাও থানার অন্তর্গত ফুলরাই গ্রামে ‘ভোলে বাবা’ সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছেন ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ শঙ্কর হরি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বঘোষিত গুরু বাবা নারায়ণ হরি যিনি ভোলে বাবা নামে পরিচিত তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ভোলে বাবাকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে কে এই ভোলে বাবা? উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার পাতিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা। তিনি ১৮ বছর আগে উত্তর প্রদেশের একটি থানার কনস্টেবল ছিলেন। সেখানেই স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটে ১৮ বছর ধরে কাজ করেছেন।   

এনডিটিভি বলছে, নারায়ণ শঙ্কর হরির আসল নাম সুরাজ পাল সিং। এরপর চাকরি ছেড়ে হয়েছেন শিবের ভক্ত। বর্তমানে ভারতজুড়ে তার লাখ লাখ অনুসারী।

তিনি বাহাদুর নাগরি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নান্নে লাল, মা কাতোরি দেবী। তারা দুই ভাই হলেও এক ভাই মারা গেছেন। গ্রামে পড়াশোনা করেছেন।

আধুনিক ধর্মগুরুর মতো ভোলে বাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অফিশিয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। ভক্তদের দাবি, তৃণমূল পর্যায়ে ভোলে বাবার প্রভাব অনেক বেশি। 

ভোলে বাবা প্রথম সবচেয়ে বেশি নজরে আসেন করোনাকালে। সেইসময় তিনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বড় বড় জমায়েতের আয়োজন করেছিলেন। 

প্রসঙ্গত, ভোলে বাবার অনুষ্ঠান শেষে হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে এতো প্রাণহানি ঘটে বহু মানুষের। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন হাথরাস ও ইটাহর বাসিন্দা। এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট শোক প্রকাশ করেছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply