বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর মুশফিকের

|

এক ডাবল সেঞ্চুরি মুশফিকুর রহিমকে এনে দিয়েছে অন্তত তিনটি রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন লিটল মাস্টার। একই সাথে বিশ্ব ক্রিকেটের রেকর্ড বুকেও যোগ করলেন আরেকটি রেকর্ড। উইকেট কিপার হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি বিশ্বে এখন একমাত্র তার। ২০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার সাথে সাথেই এই দুটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন।

আর একটু পরেই গড়েছেন নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এখন মুশফিকের। এর আগে সাকিব এক টেস্ট ইনিংসে করেছিলেন ২১৭ রান। মুশফিক আজ সেটি ছাড়িয়ে গেছেন ২১৯ করে। এই রানেই অপরাজিত থেকে আজ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৫২২ রান। এখন জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে।

মিরপুরে ৪০৭ বলে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান মুশফিক। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে গলে কাঁটায় ২০০ রান করেন তিনি। সেটি ছিল দেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে একটি করে দুইশ রানের ইনিংস আছে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের।

শেষ খবর পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশন শেষে ৭ উইকেটে ৪৮৬ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনিও ফিফটি করেছেন ইতোমধ্যে।

আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১১১ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শূন্য রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। প্রথম ইনিংসে চারশ, সাড়ে চারশ ছাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তারা। তাদের অসাধারণ নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গতিতে সেই পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। কোনো উইকেট না দিয়ে প্রথম সেশনে ৬২ রান যোগ করেন তারা।

উইকেটশূন্য সেশনে বড় একটা ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন দারুণ বোলিং করা টেন্ডাই চাতারা। টানা পঞ্চম ওভার করছিলেন তিনি। কিন্তু ওভার শেষ করতে পারেননি। তৃতীয় বল করার পর বাম পায়ের পেশিতে টান পান। স্ট্রেচারে দ্রুত মাঠের বাইরে নেয়া হয়। ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ওভারের বাকি চার বল করেন ডোনাল্ড তিরিপানো।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে নির্বিঘ্নে কঠিনতম সেশনটা কাটিয়ে দেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর হঠাৎই কক্ষচ্যুত হন মাহমুদউল্লাহ। কাইল জার্ভিসের বলে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (৩৬)। এর আগে মিস্টার পার্টনারের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।

খানিক বাদেই তার পথ অনুসরণ করেন আরিফুল হক। ফের শিকারী কাইল জার্ভিস। তার বলে ব্রায়ান চারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গেল টেস্টে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার। তাকে শিকার বানানোর বদৌলতে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেন জার্ভিস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply