আবারও বাড়ছে শেকড়, ভালো নেই ‘বৃক্ষমানব’ বাজনদার

|

ভালো নেই বিরল রোগে আক্রান্ত ‘বৃক্ষমানব’ আবুল হোসেন বাজনদার। দুই হাত-পায়ে বাসা বাধা শেকড়ের মতো কোষগুলো আবারও ছড়াতে শুরু করেছে। চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছেন বাজানদারের পরিবার, কিন্তু খরচের কথা ভেবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসক যে খরচের কথা জানিয়েছেন, তা বহন করা সম্ভব নয় পরিবারের পক্ষে।

পাইকগাছায় নিজ বাড়িতে এখন শুয়ে-বসে কাটছে বৃক্ষমানবখ্যাত আবুল বাজনদারের। ঢাকা মেডিকেলে দফায় দফায় অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হওয়া শরীর ধীরে ধীরে আবারও দুর্বল হয়ে পড়ছে। অসহ্য ব্যাথা নিয়ে কাটছে দিন।

ট্রি ম্যান সিনড্রোমে আক্রান্ত আবুল বাজনদার বলেন, প্রচণ্ড ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে ওজন বাড়তেছে। হাত ফুলে যাচ্ছে।

বাজনদারের কর্মক্ষমতা নেই। যা ছিল জামানো, চিকিৎসা করাতে গিয়ে খরচ হয়েছে তাও। নিঃস্ব পরিবারের সদস্যরা এখন খুঁজছেন একটুখানি অবলম্বন। আবুল বাজনাদারের স্ত্রী হালিমা আকতার বলেন, আগে তো কিছুটা চলতে পারতাম, এখন তো খুব বিপদে পড়েছি, কোন কাজ করতে পারি না।

ট্রি ম্যান সিনড্রোমে আক্রান্ত আবুল বাজনদার প্রায় দুই বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাত-পা থেকে গজিয়ে ওঠা শেকড় অপসারণে তাকে ২৫ দফা যেতে হয় অস্ত্রোপচার টেবিলে। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ-ই তিনি চলে যান হাসপাতাল ছেড়ে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply