ফাইনালে তুমুল মারামারি, হ্যাটট্রিক শিরোপা আবাহনীর

|

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। এ নিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল ধানমণ্ডির ক্লাবটি।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে হাতের লড়াই বেশি হয়েছে। হাতহাতি, প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও, লাথি দিয়ে ফেলে দেয়া সবই ছিল ফাইনাল ম্যাচে। আর এই সবের কারণে দু’দলের চারজনকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়।

৯ জনের দলে পরিণত হয় ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। আবাহনীর সমর্থকরা খালি বোতল গ্যালারি থেকে ছুড়ে ফেলে মাঠে।

খেলার ৮৮ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সানডে। কিন্তেু তাকে কনুই দিয়ে বুকে আঘাত করেন বসুন্ধরার ডিফেন্ডার নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। মারাত্মক আহত হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় সানডেকে। তার পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে।

সানডেকে তখন অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের ফুটবলাররা। আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন থাপ্পড় দেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরাকে। পরে সেই সুশান্ত পেটে লাথি মেরে ফেলে দেন জীবনকে।

এই অবস্থা দেখে ঘুরে এসে আবাহনীর মামুন মিয়া ফ্লাইং কিক দিয়ে সুশান্তকে ফেলে দেন। শুরু হয় দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি। এক সময় দুই দলের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

রেফারি মিজানুর রহমান বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা ও তৌহিদুল আলম সবুজ এবং ঢাকা আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন ও মামুন মিয়াকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন।

ঢাকার ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এক ম্যাচে চারটি লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু ও ইমতিয়াজ আহমেদ জনি।

খেলার ২০ মিনিটে আলমগীর কবির রানার শট দৌড়ে এসে ফিস্ট করেন আবাহনীর গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল। ফিরতি বলে বাঁ-পায়ের গড়ানো শটে সোহেলকে পরাস্ত করে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস (১-০)।

এরপর ৫০ মিনিটে কলিন্দ্রেসের পর বাকি ছিল সানডে ঝলক। সেটাও দেখিয়ে দিলেন নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দারুণ এক ক্রস দেন সোহেল রানা। সুযোগ হাতছাড়া করেননি সানডে। দু’দফা ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বার বক্সে জটলার মধ্য থেকে ডান-পায়ের দারুণ এক শটে বল জড়িয়ে দেন বসুন্ধরার জালে (১-১)।

৭৯ মিনিটে আবারও সানডে ম্যাজিক। এবার গোলের পেছনের কারিগর সোহেল রানা। মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে যান এ মিডফিল্ডার। বসুন্ধরার চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডানদিকে থাকা সানডের উদ্দেশে বল বাড়িয়ে দেন। এ নাইজেরিয়ান বল পেয়ে এক মুহূর্তও দেরি করেননি। ডান-পায়ের দারুণ প্লেসিংয়ে কয়েক হাজার সমর্থককে উৎসবে মাতিয়ে তুলেন (২-১)। ফেডারেশন কাপে এটা তার ষষ্ঠ গোল।

খেলার ৮২ মিনিটে আরও এক গোল দিয়ে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী। ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে ব্যালফোর্টের নিচু হেড সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে (৩-১)।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply