‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন মাহফিলের নামে সরকারি প্রচারণা চালাচ্ছে’

|

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিইসি বলেছেন- পুলিশ ইসির নির্দেশ মতোই কাজ করছে। কাজেই তিনি স্বীকার করে নিলেন যে, সারা দেশে যত হামলা-মামলা, গায়েবি মামলা ও গ্রেফতারসহ সব কিছুই হচ্ছে তার নির্দেশে।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী পুলিশের কো-অর্ডিনেশনের মধ্যে থাকবে, যা নজিরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, একটি সুপেরিয়র বাহিনী হিসেবে পুলিশের কমান্ডে কি করে সেনাবাহিনী কাজ করবে? সেনাবাহিনীকে আর কত ছোট করা হবে?

বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মাহফিলের নামে সরকারি প্রচারণা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান ডিজি শামীম মো. আফজাল দীর্ঘ ১০ বছর অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রশাসনিক কাজে অমনোযোগী হলেও দলীয়করণ ও দুর্নীতিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

‘তিনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি মাহফিলের নাম করে প্রতি উপজেলায় জনসভার আয়োজন করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে প্রায় দুই কোটি সরকারি টাকার তছরুপ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আদেশের তোয়াক্কা না করে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।’

রিজভীর অভিযোগ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের জনশক্তিকে আফজাল দলীয় কাজে ব্যবহার করছেন। এ জন্যই ৪৫ দিনব্যাপী ৬৪ জেলায় নির্বাচনী প্রচারের কাজ বাস্তবায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, যশোরের বিএনপি নেতা ও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুর লাশ বুড়িগঙ্গায় ভেসে ওঠা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সিইসির বক্তব্যে পরিষ্কার হল তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন চান না, যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে- এটিই কমিশনের মনোবাসনা।

সিইসির বক্তব্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে জানিয়ে রিজভী বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবেন না, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে হবে; তবে কি শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আর আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে নির্বাচন করবে?


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply