ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে কথা বলেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। পরে তার ওই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে গত ৩ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরইমধ্যে তিনি ওই শোকজ নোটিশের জবাব দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তার জবাবের একটি লিখিত কপি গণমাধ্যমের কাছে আসে।
শোকজের জবাবে তিনি বলেন, ‘টকশোতে সময় স্বল্পতার কারণে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনও নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেলে তারা নিজেরাই আগুন দেয়। এরপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সেই ক্ষোভ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছে’।
বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর পুলিশলীগ নির্বিচারে ছাত্র- জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা পরিচালনা করেছিল। তখন দেশের সর্বস্তরের জনতা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। যেটা ছিলো মুক্তিকামী জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করছে। তাই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে তার দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে। এটি জনগণ উপলব্ধি করেছিল। এই দুটি বিষয় বুঝাতে গিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি। পুরো বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। আমার সাথে যোগাযোগ ও মতামত না নিয়েই বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা খুবই হতাশার’।
প্রসঙ্গত, ওই টকশোতে তিনি বলেছিলেন, ‘মেট্রোরেলে আগুন না দিলে কিংবা পুলিশ হত্যা না করা হলে এতো সহজে বিপ্লব অর্জন করা যেত না’।
/আরএইচ
Leave a reply